শিরোনাম
Loading...

news review 1

reveunis 2

Phone-Video

বুধবার, ৭ জানুয়ারী, ২০১৫

রাজধানীতে আট গাড়িতে আগুন


অবরোধের দ্বিতীয় দিন বুধবার রাজধানীর বিভিন্ন স্থানে আটটি যানবাহনে অগ্নিসংযোগ, ভাংচুর ও ককটেল বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটেছে। পাশাপাশি ২০ দলের নেতাকর্মীরা কয়েকটি স্থানে ঝটিকা মিছিল বের করে। রাজধানীর বাইরে কয়েকটি জেলায় পুলিশের সঙ্গে ধাওয়া-পাল্টাধাওয়ার ঘটনা ঘটলেও ঢাকার চিত্র ছিল পুরো উল্টো। গাড়িতে আগুন, ককটেল বিস্ফোরণ ঘটানো হলেও রাজপথে কোনো নেতাকে দেখা যায়নি। কয়েকটি স্থানে ঝটিকা মিছিল বের করা হয়। নয়াপল্টনের বিএনপি কেন্দ্রীয় কার্যালয় গতকালও ছিল অবরুদ্ধ। সেখানে কোনো নেতাকে দেখা যায়নি। আগের মতোই রাজধানীতে অবরোধের বিপক্ষে অবস্থান নিয়ে মিছিল করেছে আওয়ামী লীগ ও এর অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মীরা। আইনশৃংখলা রক্ষায় রাজধানীতে টহলে রয়েছে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি)। রাস্তার মোড়ে মোড়ে রয়েছে অতিরিক্ত পুলিশ ও র‌্যাব। গুরুত্বপূর্ণ সড়কে টহল দিচ্ছে পুলিশ ও র‌্যাব। বাড়ানো হয়েছে নিরাপত্তা তল্লাশি। বুধবার রাতে দলের সহ-দফতর সম্পাদক আবদুল লতিফ জনি স্বাক্ষরিত এক বিবৃতিতে দলের যুগ্ম-মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী আহমেদ অবরোধের সময় পুলিশের গুলিতে কয়েকজন নেতা নিহত ও অনেককে আটকের তীব্র নিন্দা এবং প্রতিবাদ জানিয়েছেন।দূরপাল্লার বাস ছাড়েনি, ট্রেন-লঞ্চ চলাচল স্বাভাবিক : টানা অবরোধের দ্বিতীয় দিন বুধবারও দূরপাল্লার বাস ছেড়ে যায়নি। তবে ট্রেন ও লঞ্চ চলাচল ছিল স্বাভাবিক। নির্ধারিত সময়ে লঞ্চ ও ট্রেন রাজধানী থেকে ছেড়ে গেছে এবং ঢাকায় এসে পৌঁছেছে। দূরপাল্লার বাস বন্ধ থাকায় ট্রেন ও লঞ্চে যাত্রীর চাপ বেশি।রাজধানীর গাবতলী, গুলিস্তান, সায়েদাবাদ, মহাখালী বাস টার্মিনালে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, এসব টার্মিনাল থেকে দূরপাল্লার বাস ছেড়ে যায়নি। তবে স্বল্প দূরত্বের গন্তব্যে কিছু বাস মাঝেমধ্যে ছেড়ে যাচ্ছে। গুলিস্তান বাস টার্মিনাল থেকে ঢাকার পার্শ্ববর্তী জেলা গাজীপুর, নারায়ণগঞ্জ ও মুন্সীগঞ্জ, মহাখালী থেকে নরসিংদী, ময়মনসিংহ ও ব্রাহ্মণবাড়িয়া, গাবতলী থেকে মানিকগঞ্জ, যাত্রাবাড়ী-সায়েদাবাদ থেকে কুমিল্লাসহ কয়েকটি জেলার বাস ছেড়ে গেছে বলে জানান পরিবহন শ্রমিকরা।গুলিস্তান গিয়ে দেখা যায়, মুন্সীগঞ্জের শ্রীনগর ও মাওয়া ঘাটের উদ্দেশে বেশ কয়েকটি গাড়ি ছেড়ে গেছে। বাসের যাত্রী ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী সোহরাব হোসেন জানান, মাদারীপুরে যাবেন। কোনোমতে মাওয়া ফেরি ঘাটে পৌঁছতে পারলে ফেরি চলাচল করায় সহজেই যেতে পারবেন তিনি। একইভাবে গাবতলী বাস টার্মিনাল থেকে পাটুরিয়া ফেরিঘাটের উদ্দেশে বেশ কিছু গাড়ি ছেড়ে গেছে। গাবতলীকেন্দ্রিক বাস মালিকদের সংগঠন বাংলাদেশ বাস-ট্রাক ওনার্স অ্যাসোসিয়েশনের ভাইস চেয়ারম্যান জিআর শহীদ বলেন, নিরাপত্তাহীনতার কারণে গাবতলী থেকে দূরপাল্লার কোনো বাস ছেড়ে যায়নি। পথের নিরাপত্তা নিশ্চিত না হওয়া পর্যন্ত বাস ছাড়ার কোনো পরিকল্পনা নেই। তবে বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন সমিতির মহাসচিব খন্দকার এনায়েত উল্লাহ বলেন, মহাখালী ও সায়েদাবাদ বাস টার্মিনাল থেকে প্রচুরসংখ্যক বাস বিভিন্ন গন্তব্যে ছেড়ে গেছে। তবে রাজধানীতে গণপরিবহন চলাচল ছিল অনেকটা স্বাভাবিক। মঙ্গলবারের চেয়ে গতকাল গাড়ির সংখ্যা ছিল বেশি। সকাল থেকে প্রচুরসংখ্যক গাড়ি চলাচল করতে দেখা গেছে। মিরপুর, ফার্মগেট, গুলিস্তান, পল্টন, মতিঝিল, মালিবাগসহ গুরুত্বপূর্ণ এলাকাগুলোতে গাড়ির চাপে অল্প মাত্রার যানজট দেখা গেছে। নগরীতে যাত্রী চলাচল উপস্থিতি বেড়েছে। গণপরিবহনের পাশাপাশি ব্যক্তিমালিকানাধীন গাড়ির সংখ্যাও ছিল বেশি। দোকানপাটও ছিল খোলা। ব্যাংক-বীমা, শেয়ারবাজারসহ আর্থিক প্রতিষ্ঠানে স্বাভাবিক লেনদেন হয়েছে।এদিকে ২০ দলীয় জোটের টানা অবরোধের দ্বিতীয় দিনে ট্রেন চলাচল স্বাভাবিক ছিল। বুধবারও রাজধানীর ঢাকা থেকে সবক’টি যাত্রীবাহী ট্রেন যথাসময়ে ছেড়ে গেছে এবং পশ্চিম ও পূর্বাঞ্চল থেকে ছেড়ে আসা সবক’টি ট্রেন ঢাকা পৌঁছেছে যথাসময়ে। ঢাকা রেলওয়ে বিভাগীয় কর্মকর্তা কামরুল আহসান যুগান্তরকে জানান, অবরোধে কোনো ট্রেনেই যাত্রী কম আসছে না বরং প্রতিটি ট্রেনই অতিরিক্ত যাত্রী নিয়ে ঢাকা আসছে। যাত্রী নিরাপত্তা নিশ্চিত করায় ও নিরাপদ পরিবহন হওয়ায় ট্রেনে যাত্রীদের ভিড় বাড়ছে। বিমানবন্দর রেলওয়ে স্টেশন সহকারী বুকিং মাস্টার জাহাঙ্গীর আলম জানান, অবরোধের কারণে বিমানবন্দর রেলওয়ে স্টেশনে অন্যসব দিনের তুলনায় বেশি যাত্রী আসছে। শত শত যাত্রী সিটবিহীন টিকিট কেটে ভ্রমণ করছে। একই সঙ্গে যাত্রীরাও আসছে।লঞ্চগুলোতে একই চিত্র দেখা গেছে। দেশের বিভিন্ন জেলা থেকে অর্ধশতাধিক লঞ্চ ঢাকায় এসেছে বলে জানিয়েছেন বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন কর্তৃপক্ষ বিআইডব্লিউটিএর কর্মকর্তারা। এসব লঞ্চে যাত্রী সংখ্যা আগের তুলনায় বেশি ছিল বলেও জানান তারা। একইভাবে বুধবার গভীর রাত পর্যন্ত বিভিন্ন গন্তব্যে লঞ্চ ছেড়ে গেছে। এদিকে ঢাকা নদীবন্দরের (সদরঘাট) নিরাপত্তায় অতিরিক্ত আইনশৃংখলা বাহিনী মোতায়েন করা হয়েছে। গোপন ক্যামেরার মাধ্যমে পুরো সদরঘাট পর্যবেক্ষণ করা হচ্ছে।আগুন ও ককটেল : বুধবার সন্ধ্যায় পুরানা পল্টনে ক্রীড়া পরিষদ ভবনের সামনে পেট্রল দিয়ে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের একটি যাত্রীবাহী বাসে আগুন দেয়া হয়। ফায়ার সার্ভিসের দুটি ইউনিট ঘটনাস্থল গিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। সন্ধ্যায় জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় এলাকায় ছাত্রদল নেতা আসিফ রহমান বিপ্লবের নেতৃত্বে একটি মিছিল বের হয়। এ সময় পুলিশ এলে মিছিলকারীরা কয়েকটি ককটেল বিস্ফোরণ ঘটিয়ে ছত্রভঙ্গ হয়ে যায়। পরে একটি যাত্রীবাহী বাসে আগুন দেয়া হয়। পুড়ে যাওয়া বাসটির নম্বর ঢাকা মেট্রো-জ-১১-২৩৮৪। ফায়ার সর্ভিস ঘটনাস্থলে গিয়ে আগুন নেভায়। এ সময় আকাশ নামে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রদলের এক কর্মীকে আটক করা হয়েছে। মধ্য বাড্ডায় একটি পিকআপ ভ্যানে আগুন দেয়া হয়েছে। এর আগে বেলা সোয়া ১১টার দিকে ইত্তেফাক মোড়ে পুড়িয়ে দেয়া হয় একটি সিএনজি অটোরিকশা। বাহাদুর শাহ পার্ক, যাত্রাবাড়ী ও বাংলাবাজারে বেশ কিছু যানবাহন ভাংচুর করা হয়েছে। বিকালে বিমানবন্দর এলাকায় গাড়িতে আগুন দেয়ার সময় পেট্রলসহ আটক করা হয়েছে এক বিএনপি কর্মীকে। সন্ধ্যা ৭টার দিকে আজিমপুর মোড়ে একটি যাত্রীবাহী বাসে আগুন দেয়া হয়েছে। আগুন নেভানোর জন্য ফায়ার সার্ভিসের পলাশী ইউনিটের কর্মীরা ঘটনাস্থলে যান। দুপুর ১২টার দিকে বাহাদুর শাহ্ পার্কের সামনে বেশ কয়েকটি গাড়ি ভাংচুর করে অবরোধকারীরা। পুলিশের ধাওয়া খেয়ে তারা পালিয়ে যায়। এর আগে সকাল ৯টার দিকে বাংলাবাজারে কয়েকটি বাস ভাংচুর করা হয়েছে।সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে মধ্য বাড্ডার প্রগতি সরণিতে একটি পিকআপ ভ্যানে আগুন দেয় দৃর্বত্তরা। তবে বাড্ডা থানার ওসি আবদুল জলিল জানান, তার এলাকায় কোনো গাড়িতে আগুন দেয়া হয়নি। বুধবার বিকাল ৩টার দিকে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের সামনের সড়কে একটি গাড়িতে আগুন দেয়ার সময় মন্টু মিয়া (২৮) নামে একজনকে আটক করেছে পুলিশ। যাত্রাবাড়ী-গুলিস্তান ফ্লাইওভারের যাত্রাবাড়ী অংশের প্রবেশ মুখ কুতুবখালিতে প্রায় অর্ধশত যুবকের একটি দল হঠাৎ হামলা করে বেশ কিছু গাড়ি ভাংচুর করে ও একটি পণ্যবাহী ট্রাকে আগুন ধরিয়ে দেয়ার চেষ্টা করে। এ সময় তারা বেশ কয়েকটি ককটেলের বিস্ফোরণ ঘটায়। এতে স্থানীয় লোকজনের মধ্যে আতংক তৈরি হয়। পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছার আগেই ওই যুবকরা সরে পড়ে।গুলশান ২ নম্বর কাঁচাবাজারের সামনে বিকাল ৪টা ২০ মিনিটে পরপর তিনটি ককটেল বিস্ফোরণ ঘটানো হয়। গুলশান শপিং সেন্টারের ছাদ থেকে একটি বাসকে লক্ষ্য কর ককটেলগুলোর বিস্ফোরণ ঘটানো হয়েছে বলে প্রত্যক্ষদর্শীরা পুলিশকে জানান। গুলশান থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছার আগেই দুর্বৃত্তরা পালিয়ে যায়। এছাড়া রাজধানীর কারওয়ান বাজার মোড়, তেজগাঁও, মতিঝিল, নয়াপল্টন, ফকিরাপুল, যাত্রাবাড়ী ও মিরপুরে ককটেল বিস্ফোরণ ঘটানো হয়েছwww.24banglanewspaper.com

Related Post:

  • 0Blogger Comment
  • Facebook Comment

pop Earnings