শিরোনাম
Loading...

news review 1

reveunis 2

Phone-Video

রবিবার, ২৫ জানুয়ারী, ২০১৫

বিকেএসপির প্রস্তুতি শেষ

প্রস্তুতি ম্যাচে জয়-পরাজয় বড় কিছু নয়। তার পরও একটা হার বা জয় খেলোয়াড়দের মনোজগতে দুই রকম প্রতিক্রিয়া তৈরি করতে পারে। সেটিই সত্যি হলে আবাহনীর কাছে অনুশীলন ম্যাচে ২-০ গোলে হার জাতীয় দলকে বিব্রত করেছিল বৈকি। তবে কাল সেই জাতীয় দলই শেখ জামাল ধানমন্ডির বিপক্ষে নিজেদের দ্বিতীয় ও শেষ প্রস্তুতি ম্যাচে ৩-১ গোলে জয় তুলে খানিক উজ্জীবিতই হয়েছে।
শেখ জামালের ১৪ জন খেলোয়াড়ই জাতীয় দলের ক্যাম্পে। দলটার পক্ষে তাই এখন ম্যাচ খেলা প্রায় অসম্ভব। তার পরও তিন পুরোনো বিদেশির সঙ্গে নতুন আসা তিনজনকে ট্রায়ালে দেখতেই ম্যাচটা খেলা। এতেও একটা একাদশ হচ্ছিল না প্রিমিয়ার লিগ চ্যাম্পিয়নদের। সমস্যা সমাধানে শেখ জামালের জার্সিতে খেললেন জাতীয় দলের ক্যাম্পে থাকা তিন খেলোয়াড় ডিফেন্ডার নাসিরউদ্দিন, লিংকন ও গোলরক্ষক সোহেল।
এই জোড়াতালির শেখ জামালকে হারাতে জাতীয় দলকে শক্ত কোনো পরীক্ষাই দিতে হয়নি। বিকেএসপিতে ‘রুদ্ধদ্বার’ ম্যাচে জাতীয় দলের প্রথম দুটি গোল স্ট্রাইকার এমিলির। প্রথম গোল মামুনুলের ক্রসে হেডে, পরেরটি মামুনুলের সাজিয়ে দেওয়া বলেই প্লেসিং। তৃতীয় গোলটি আত্মঘাতী। ৩-০ হওয়ার পর যোগ করা সময়ে শেখ জামালের হয়ে ব্যবধান কমান হাইতিয়ান স্ট্রাইকার লুই নিওন। তাঁকে ছাড়া বাকি দুই নবাগতকে নাকি মনে ধরেনি শেখ জামাল কর্তাদের।
বিকেএসপিতে জাতীয় দলের তিন সপ্তাহেরও বেশি সময়ের অনুশীলন পর্ব শেষ হলো এই ম্যাচ দিয়েই। আজই দলের সিলেটে যাওয়ার কথা। ২৯ জানুয়ারি মালয়েশিয়ার মুখোমুখি হওয়ার আগে সেখানে দুদিন প্রস্তুতি নেওয়ার সুযোগ থাকছে। বাংলাদেশ দল বিকেএসপির অনুশীলন পর্ব নিয়ে বেশ খুশি। বাফুফে ভবনে কাল দুপুরের আগে সংবাদ সম্মেলনে এসে কোচ-অধিনায়ক জানালেন, সব ঠিকঠাক চলছে। কোনো চোটসমস্যা নেই। মাঠে এখন নিজেদের প্রমাণের অপেক্ষা।
ঘরের মাঠের টুর্নামেন্টে অন্তত সেমিফাইনাল খেলার আশা শুরু থেকেই ব্যক্ত করে আসছেন ফুটবলাররা। শুধু তাই নয়, আবাহনীর কাছে প্রস্তুতি ম্যাচে হারের পর ক্ষুব্ধ বাফুফে সভাপতি কাজী সালাউদ্দিনকে সেমিফাইনালে খেলার প্রতিশ্রুতি দেন তাঁরা। কোচ লোডভিক ডি ক্রুইফও পরশু অনুশীলনে যোগ দিয়ে সেমিফাইনালে ওঠার প্রত্যাশাই ব্যক্ত করেছেন ঘুরিয়ে-ফিরিয়ে।www.24banglanewspaper.com
কালকের সংবাদ সম্মেলনে সেসবেরই প্রতিধ্বনি শোনা গেল কোচ ও অধিনায়কের মুখে। ডি ক্রুইফ বললেন, ‘ছেলেরা উজ্জীবিত আছে। প্রতিটি ম্যাচই গুরুত্বপূর্ণ। আমরা ম্যাচ ধরে ধরে এগোব। তবে অবশ্যই গ্রুপে ছয় পয়েন্ট নিয়ে সেমিফাইনালে যাওয়ার আশা আমাদের। এরপর চোখ রাখব আরও ওপরে।’
পরশু বিকেএসপিতে বসে একটা চ্যালেঞ্জের কথা বলছিলেন অধিনায়ক মামুনুল ইসলাম, ‘সেমিফাইনালে উঠতে না পারলে জাতীয় দলে আর খেলব না। নতুন কেউ দায়িত্ব নিয়ে বাংলাদেশকে এগিয়ে নিতে পারলে জায়গা ছেড়ে দেব। এটা সালাউদ্দিন ভাইকেও বলেছি।’ এত বড় চ্যালেঞ্জ রক্ষা করতে সংবাদ সম্মেলনে অধিনায়ক একরকম ঘোষণার সুরেই বললেন, ‘সেমিফাইনালে উঠেই সালাউদ্দিন ভাইয়ের সঙ্গে দেখা করব।’
বড় টুর্নামেন্টের আগে এমন চোয়ালবদ্ধ প্রতিজ্ঞাই তো দরকার।

Related Post:

  • 0Blogger Comment
  • Facebook Comment

pop Earnings