দানবীয় গেইল
ক্রিস গেইল মানে খাঁটি বিনোদনের নিশ্চয়তা। ক্রিস গেইল মানে চার-ছক্কার ধামাকা! কিন্তু অনেক দিন গেইলকে ঠিক গেইলের মতো লাগছে না! জ্যামাইকা ওপেনার স্বরূপে ফিরলেন ২৪ ফেব্রুয়ারি, ক্যানবেরায়, জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে। তিনি যে ইনিংস খেললেন, তাকে ঠিক সাইক্লোন-টাইক্লোন বলেও মাহাত্ম্য পরিমাপ করা যায় না। তবে একটি ব্যাপার অনায়াসে বলা যায়, গেইল সেদিন ইতিহাস গড়লেন, ইতিহাস। টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে প্রথম সেঞ্চুরি তাঁর। কিন্তু ওয়ানডে বিশ্বকাপে যেহেতু এ রেকর্ডটির সুযোগ নেই, তবে ডাবল করার সুযোগ তো ছিল! গেইল তা-ই করলেন। বিশ্বকাপ ইতিহাসের প্রথম ডাবল সেঞ্চুরির মালিক হলেন ক্যারিবীয় ওপেনার! জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে খেললেন ২১৫ রানের দুর্দান্ত ইনিংস।
সাঙ্গাকারা আখ্যানক্রিস গেইল মানে খাঁটি বিনোদনের নিশ্চয়তা। ক্রিস গেইল মানে চার-ছক্কার ধামাকা! কিন্তু অনেক দিন গেইলকে ঠিক গেইলের মতো লাগছে না! জ্যামাইকা ওপেনার স্বরূপে ফিরলেন ২৪ ফেব্রুয়ারি, ক্যানবেরায়, জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে। তিনি যে ইনিংস খেললেন, তাকে ঠিক সাইক্লোন-টাইক্লোন বলেও মাহাত্ম্য পরিমাপ করা যায় না। তবে একটি ব্যাপার অনায়াসে বলা যায়, গেইল সেদিন ইতিহাস গড়লেন, ইতিহাস। টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে প্রথম সেঞ্চুরি তাঁর। কিন্তু ওয়ানডে বিশ্বকাপে যেহেতু এ রেকর্ডটির সুযোগ নেই, তবে ডাবল করার সুযোগ তো ছিল! গেইল তা-ই করলেন। বিশ্বকাপ ইতিহাসের প্রথম ডাবল সেঞ্চুরির মালিক হলেন ক্যারিবীয় ওপেনার! জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে খেললেন ২১৫ রানের দুর্দান্ত ইনিংস।
ক্যারিয়ার-সায়াহ্নে চলে এসেছেন কুমার সাঙ্গাকারা। কিন্তু তাঁর ব্যাটিং দেখে তা বোঝার উপায় আছে? যেন মাত্র দলে জায়গা পাওয়া টগবগে এক তরুণ ক্রিকেটার। যিনি প্রতিজ্ঞা করছেন, দুর্দান্ত খেলে দীর্ঘ পথ হাঁটবেন! বয়স বাড়ছে, সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বাড়ছে সাঙ্গার ব্যাটের ধার, তীব্রতর হচ্ছে রানক্ষুধা। নিত্য নিজেকে নিচ্ছেন নতুন উচ্চতায়। বাংলাদেশ-ইংল্যান্ড দুই দলের বিপক্ষে করলেন টানা দুই সেঞ্চুরি। এখনো পর্যন্ত ২৬৮ রান করে সবার ওপরে অবস্থান সাঙ্গার। এ গতি বজায় থাকলে নিজের শেষ বিশ্বকাপটা যে অতিস্মরণীয় করে রাখতে চাচ্ছেন, তা বলার অপেক্ষা রাখে না।
ভয়ংকর ডি ভিলিয়ার্স
গত ১৮ জানুয়ারি ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে এবি ডি ভিলিয়ার্সের মাত্র ৩১ বলে সেঞ্চুরির পর ধারাভাষ্যকার আকাশ চোপড়া টুইট করেছিলেন, ‘ডি ভিলিয়ার্সের ডিএনএ পরীক্ষা করানো দরকার। কারণ, খেলটা মানুষের!’ বিশ্বকাপে একই দলের বিপক্ষে প্রোটিয়া অধিনায়কের তাণ্ডবের পর আকাশ চোপড়ার কথাটা যথার্থই মনে হবে। ২৭ ফেব্রুয়ারি সিডনিতে খেললেন ৬৬ বলে অপরাজিত ১৬২ রানের এক দুর্দান্ত ইনিংস! ক্যারিবীয় বোলারদের রীতিমতো কাঁদিয়ে ছাড়লেন প্রোটিয়া অধিনায়ক। তবে সেদিন সবচেয়ে বেশি চড়াও হয়েছিলেন উইন্ডিজ অধিনায়ক জেসন হোল্ডারের ওপর। হোল্ডারের শেষ দুই ওভারেই ডি ভিলিয়ার্স তুললেন ৬৪ রান (৩৪ ও ৩০)! ওয়ানডেতে এটিই দ্রুততম ১৫০ রানের রেকর্ড।
সাকিব-মুশফিকে বাংলাদেশের নির্ভরতা
সূচি বলছে, বাংলাদেশের তিন ম্যাচ শেষ। ব্রিসবেনে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে ম্যাচটি বৃষ্টিতে ভেসে যাওয়ায় আদতে মাশরাফির দল খেলেছে দুই ম্যাচ। এ দুই ম্যাচে বাংলাদেশের বড় পাওয়া সাকিব-মুশফিকের জুটি। ১৮ ফেব্রুয়ারি আফগানিস্তানের বিপক্ষে জয়ের পেছনে এ দুইয়ের ছিল সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা। সাকিব-মুশফিকের পঞ্চম উইকেটে এল সর্বোচ্চ ১১৪ রান। শ্রীলঙ্কার বিপক্ষেও আশা দেখিয়েছিল এ জুটি। দুজনের ষষ্ঠ উইকেটে এল সর্বোচ্চ ৬৪ রান। এখন বিশেষজ্ঞদের অভিমত, সাকিব-মুশফিককে আরও ওপরে খেলানো দরকার।
১০-এ ১০ নিউজিল্যান্ড
এবারের বিশ্বকাপে তিন ফেবারিটকে ক্রমানুসারে সাজালে আসবে—অস্ট্রেলিয়া, দক্ষিণ আফ্রিকা ও নিউজিল্যান্ড। তবে এখন বোধ হয় নিউজিল্যান্ডকে সবার আগেই রাখতে হবে। বিশেষ করে ২৮ ফেব্রুয়ারি অকল্যান্ডে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে শ্বাসরুদ্ধকর ম্যাচে জেতার পর অনেকের বাজি কিউইদের পক্ষে। এখনো পর্যন্ত বিশ্বকাপে সবচেয়ে বেশি সাফল্য পেয়েছে তারাই। চার ম্যাচে পূর্ণ আট পয়েন্ট নিয়ে সবার আগে শেষ আট নিশ্চিত করেছে নিউজিল্যান্ড। অন্যদিকে বিপরীত চিত্র অস্ট্রেলিয়া-নিউজিল্যান্ডে ’৯২ বিশ্বকাপজয়ী পাকিস্তানের। ৩ ম্যাচে মাত্র একটিতে জিতে ‘বি’ গ্রুপের পয়েন্ট টেবিলে পাকিস্তানের অবস্থান ছয়ে। শেষ আটে মিসবাহ-উল-হকের দল যেতে পারবে কি না, তা নিয়ে ঘোর অনিশ্চয়তা। অবশ্য তাদের চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী ভারত বিশ্বকাপে ফিরেছে দুরন্তরূপে। তিন ম্যাচে তিনটি দাপুটে জয়ে ‘বি’ গ্রুপের শীর্ষে মহেন্দ্র সিং ধোনির দল।
ছোটদের বড় চমক
আগামী বিশ্বকাপে ‘ছোট’দের ছেঁটে ফেলার কথা উঠেছে। ২০১৯ বিশ্বকাপ হবে নাকি দশ দল নিয়ে। অথচ এবার বিশ্বকাপে এখনো পর্যন্ত বেশির ভাগ প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ ম্যাচই উপহার দিয়েছে ছোটরা। ‘দৈত্য-বধে’ আগ থেকেই সুনাম রয়েছে আয়ারল্যান্ডের। ১৬ ফেব্রুয়ারি ওয়েস্ট ইন্ডিজের দেওয়া ৩০৫ রান তাড়া করতে নেমে বেশ স্বচ্ছন্দেই লক্ষ্যে পৌঁছে গিয়েছে আইরিশরা। তার আগের দিন দক্ষিণ আফ্রিকার দেওয়া ৩৪০ রানের লক্ষ্যে খেলতে নেমে জিম্বাবুয়ে তোলে ২৭৭ রান। পারফরম্যান্সের বিচারে সবচেয়ে ভালো সময় যাচ্ছে নিউজিল্যান্ডের। সেই কিউইদের পর্যন্ত কাঁপিয়ে দিয়েছিল স্কটিশরা। ডানেডিনে স্কটল্যান্ডের দেওয়া ১৪৩ রানের মামুলি লক্ষ্যে খেলতে নেমে নিউজিল্যান্ড হারিয়ে বসেছিল ৭ উইকেট! সর্বশেষ, ব্রিসবেনে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে পাকিস্তান বেঁচে গিয়েছে অল্পের জন্য! আর ছোটদের মধ্যে লড়াইয়ে অর্থাৎ আয়ারল্যান্ড-সংযুক্ত আরব আমিরাত, জিম্বাবুয়ে-আমিরাত—এ ম্যাচগুলো ছিল তুমুল প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ।
আল আমিন-মঈনের দেশে ফেরা
মাঠের বাইরে যে দুটো ঘটনা সবচেয়ে বেশি আলোচিত—বাংলাদেশ দলের পেস বোলার আল আমিন ও পাকিস্তান দলের প্রধান নির্বাচক মঈন খানের দেশে ফেরা। টিম ম্যানেজমেন্টের অনুমিত ছাড়া রাতে হোটেলের বাইরে গিয়েছিলেন আল আমিন। কেন গিয়েছিলেন, সেটি এখনো পরিষ্কার নয়। তবে বিসিবি বড় শাস্তিই দিয়েছে বাংলাদেশ পেসারকে। একটি ম্যাচেও না খেলা আল আমিনকে দেশে ফিরিয়ে আনা হয়েছে। ওদিকে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে ম্যাচের আগে ক্যাসিনোতে যাওয়ার অপরাধে মঈনকে দেশে ফিরিয়ে নিয়েছে পিসিবি।more-www.24banglanewspaper.com