শিরোনাম
Loading...

news review 1

reveunis 2

Phone-Video

রবিবার, ১৫ ফেব্রুয়ারী, ২০১৫

হাঁফ ছেড়ে বেঁচেছেন মিসবাহ!

ম্যাচটা শেষ হওয়ায় মিসবাহ-উল-হক যেন হাঁফ ছেড়ে বেঁচেছেন। যাক, এবার বিশ্বকাপে মন দেওয়া যাবে।
এটা একটা কথা হলো? যে ম্যাচ জিতলে বিশ্বকাপ জিততে না পারাটাকেও ক্ষমা করে দেয় সমর্থকেরা, সেটিতে পরাজয় কি এত সহজে মেনে নেওয়ার মতো! মিসবাহর কথা শুনে মনে হলো, তিনি তা-ই নিচ্ছেন।
ওপরের কথাটা তাঁরই। বিশ্বকাপে ভারতের বিপক্ষে আরেকটি ম্যাচ, আরেকটি পরাজয়—ম্যাচ শেষে সংবাদ সম্মেলনে মিসবাহর প্রতিক্রিয়া জানতে চেয়ে প্রথম প্রশ্নটার উত্তরটা হুবহুই তুলে দেওয়া যাক: ‘ম্যাচটা শেষ হয়েছে। এখন আমরা পরের ম্যাচগুলোতে মন দিতে পারব।’
আগের দিন যে মিসবাহ ইতিহাস বদলে দেওয়ার কথা বলছিলেন, তিনি তাহলে বিশ্বকাপে ভারতের কাছে পরাজয়টাকেই নিয়তি বলে মেনে নিচ্ছেন? মনে তো হলো সে রকমই। এই রহস্যের যে কোনো ব্যাখ্যা নেই তাঁর কাছে, ‘আমি জানি না কেন এমন হয়। আমাদের আসলে কিছু করারও নেই।’
ব্যাখ্যা নেই মহেন্দ্র সিং ধোনির কাছেও। এটিকে বেশি বড় করে দেখাতেও তাঁর আপত্তি। ‘এটা নিয়ে কিছু বলতে চাই না। এই রেকর্ডে আমরা অবশ্যই খুশি। তবে একসময় না একসময় এটি ভাঙবেই। পরের বিশ্বকাপে বা এর পরের বিশ্বকাপে অথবা চার বিশ্বকাপ পর, পৃথিবী শেষ হয়ে যাওয়া পর্যন্ত এমনই চলতে থাকবে মনে করার কোনো কারণ নেই।’
পরের কথাগুলোতে অবশ্য বিশ্বকাপে পাকিস্তানের বিপক্ষে ভারতের আধিপত্য নিয়ে তাঁর বিস্ময়ই প্রকাশ পেল, ‘সব মিলিয়ে যদি দেখেন, আমরা কিন্তু ওদের চেয়ে পিছিয়ে আছি। ওরা আমাদের ওপর আধিপত্য করেছে। পাকিস্তান এখনো ভালো দল। আগের মতো খেলোয়াড় হয়তো নেই, তবে প্রতিভায় কিন্তু ওরা পিছিয়ে নেই। আমার যেটা চোখে পড়েছে, আগে ওদের দলে আবদুল রাজ্জাকের মতো অলরাউন্ডার ছিল। এখন আর সে রকম কোনো সিমিং অলরাউন্ডার নেই। এটা হয়তো ওদের একটু ভোগাচ্ছে।’
এটি পাকিস্তানের সমস্যা, পাকিস্তান বুঝবে। ধোনি তা নিয়ে খুব বেশি মাথা ঘামাতে যাবেন কেন? ভারতীয় অধিনায়ককে বরং বিশ্বকাপটা যেমন দাপটে শুরু করল তাঁর দল, সেটি নিয়ে কথা বলতেই বেশি আগ্রহী মনে হলো। ব্যাটিংয়ে শেষের দিকে দ্রুত কয়েকটি উইকেট পড়ে যাওয়ার পরও এই ম্যাচে দলের পারফরম্যান্সে এমনই খুশি যে, এটিকে ‘ভেরি কমপ্লিট গেম’-এর রায় দিয়ে ফেললেন। এমনও বললেন, পরের ম্যাচগুলোর জন্য এই পারফরম্যান্স একটা মানদণ্ড দাঁড় করিয়ে দিয়েছে।
শিখর ধাওয়ান রান পাচ্ছিলেন না। দুর্দান্ত এক টেস্ট সিরিজের পর বিরাট কোহলি পর্যন্ত নিজেকে হারিয়ে খুঁজছিলেন। ভারতীয় বোলিং নিয়ে নানা রকম রসিকতা চালু হয়ে গিয়েছিল। সব মিলিয়ে যে ভারতকে কদিন আগেই মনে হচ্ছিল জড়ভরত এক দল, অস্ট্রেলিয়ার কন্ডিশনের সঙ্গে মানিয়ে নেওয়ার জন্য এত সময় পাওয়ার পরও যারা ত্রিদেশীয় সিরিজে গোহারা হেরেছে, সেই ভারতের এমন বদলে যাওয়ার রহস্য কী?
ধোনির কাছে এই রহস্যের উত্তর, মাঝখানে পাওয়া ৮-১০ দিনের বিশ্রাম। ‘আমরা সফরটাকে ভাগ করে নিয়েছি। টেস্ট সিরিজের পর ত্রিদেশীয় সিরিজ খেললাম। এর পর কদিনের বিশ্রামের পর নিজেদের বলেছি, বিশ্বকাপ একটা নতুন টুর্নামেন্ট। নতুন করেই তা শুরু করেছি।’
সেই শুরুটা এর চেয়ে ভালো আর হতে পারত না। ক্লাইভ লয়েড ও রিকি পন্টিংয়ের পর তৃতীয় অধিনায়ক হিসেবে বিশ্বকাপের শিরোপা ধরে রাখার সুযোগ তাঁর সামনে। বড় চ্যালেঞ্জও। শুরুতেই পাকিস্তানের ‘ঝামেলা’টা শেষ করে ফেলতে পারায় ধোনিকে খুব তৃপ্ত দেখাল। অন্য কোনো দলের বিপক্ষে জিতলে যত পয়েন্ট, পাকিস্তানের বিপক্ষে জিতলেও তা-ই, নেট রানরেটের নিয়মও আলাদা কিছু নয় ইত্যাদি ইত্যাদি বলে পাকিস্তানের বিপক্ষে ম্যাচের সঙ্গে অন্য কোনো ম্যাচের কোনো পার্থক্য নেই বলে দাবি করলেন প্রথমে। সেটি কেউই বিশ্বাস করছে না বুঝতে পেরেই কি না, পরে আবার নিজেই বললেন, ‘যতই অন্য ম্যাচের মতো বলি, এই ম্যাচটা একটু তো আলাদাই। ফাইভ স্টার হোটেলে খাবার দেওয়ার সময় যেমন বাড়তি কিছু যোগ করে দেয়, এই ম্যাচেও বাড়তি একটা কিছু থাকেই। খেলোয়াড়েরা এই ম্যাচের আগে টগবগ করে ফুটতে থাকে। ওদের এই উত্তেজনাকে ঠিকমতো কাজে লাগানোটাই সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ।’
সেই চ্যালেঞ্জে বারবার জয়ী হয়েছেন বলেই তো তিনি মহেন্দ্র সিং ধোনি।more- www.24banglanewspaper.com

Related Post:

  • 0Blogger Comment
  • Facebook Comment

pop Earnings