বিশ্বচ্যাম্পিয়ন বাংলাদেশ!
পিলে চমকানোর মতো খবর! না, না, ক্রিকেট মাঠে এখনো বিশ্বসেরা হওয়ার
যোগ্যতা অর্জন করতে পারেনি বাংলাদেশ। তবে ক্রিকেট নিয়ে উন্মাদনায় যে
বাংলাদেশই সেরা, তা বলতে তো আর অত্যুক্তি নেই!
হাজারো দুঃসংবাদের ভিড়ে এ
দেশের মানুষের মুখে হাসি ফোটান তো ক্রিকেটাররাই! গর্বে বুকের ছাতিটা
প্রসারিত হয়ে যায় যখন বাংলাদেশের জান, বাংলাদেশের প্রাণ সাকিব আল হাসান
হয়ে ওঠেন বিশ্বসেরা! অসংখ্যবার সার্জারি টেবিলের আশ্রয় নেওয়া মাশরাফি
যখন মাঠে বল ধরতে প্রাণপণ ডাইভ দেন, তখন শঙ্কায় চোখ বন্ধ করে ফেলেন কেউ
কেউ। অস্ফুট স্বরে বলে ওঠেন, ‘কী দরকার এভাবে জীবন দিয়ে খেলার!’
ক্রিকেটের
প্রতি, সাকিব-মাশরাফিদের প্রতি মানুষের অন্তহীন এই ভালোবাসা প্রায়ই হোঁচট
খায়, যখন ক্রিকেটাররা একে মাঠে অনূদিত করতে পারেন না। অভিমানী সমর্থকেরা
হতাশায় ভোগেন, ‘ওরা কি আমাদের ভালোবাসা টের পায় না?’
না, বাংলাদেশের
ক্রিকেটাররা সমর্থকদের আবেগের জোয়ারটা ভালোভাবেই টের পান। ক্রিকেটারদের
সাফল্য মানেই যে এ দেশের সাফল্য, ব্যর্থতা মানেও তো এ দেশেরই! ক্যানবেরায়
পৌঁছে সিডনি মর্নিং হেরাল্ডকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে এনামুলের তাই
প্রত্যয়দীপ্ত কণ্ঠ, ‘আমাদের অভিজ্ঞতা-তারুণ্যের মিশেলে দল। আছে ভালো ফাস্ট
বোলার ও স্পিনার। এই দল নিয়ে আমাদের ভালোভাবে পারফর্ম করতে হবে। প্রমাণ
করতে হবে যে পরের বিশ্বকাপে অবশ্যই আমরা খেলতে পারি। এটাই আমাদের দেখিয়ে
দেওয়ার সুযোগ।’
একপর্যায়ে এনামুলের কণ্ঠ কেমন যেন ধরে গেল,
‘বিশ্বকাপটা আমাদের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ। কারণ আমাদের দেশের মানুষের
ক্রিকেট নিয়ে উন্মাদনা অন্তহীন। আমরা যখন জিতি, তারা আনন্দে মেতে ওঠে।
উৎসবমুখর হয়ে ওঠে পরিবেশ। আর যখন হারি, তারা কাঁদে, হতাশায় নিমজ্জিত হয়।
কাজেই আমাদের দেশের মানুষের জন্য হলেও পারফর্ম করতে হবে।’
এই আবেগটাকে এনামুলরা শক্তিতে রূপান্তরিত করতে পারলেই হয়!more-www.24banglanewspaper.com
