ম্যাডিসন কিইস নামটি টেনিসপ্রেমীদের খুব চেনাশোনা হওয়ার কথা নয়।
মার্কিন এই টিনএজ সেনসেশন অস্ট্রেলিয়ান ওপেনে খেলতে এসেছিলেন হয়তো
অভিজ্ঞতা অর্জনের উদ্দেশ্যেই। কিন্তু সেই কিইসই যে হারিয়ে দেবেন ভেনাস
উইলিয়ামসকে সেটা কে ভেবেছিল!
হ্যাঁ, এই কিইসের কাছে হেরেই
অস্ট্রেলিয়ান ওপেনের সেমিফাইনালের স্বপ্ন শেষ হয়ে গেছে ৩৪ বছর বয়সী
মার্কিন তারকার। একটা সময় নাকি এই ভেনাসকে আদর্শ ভেবেই টেনিসে পা
রেখেছিলেন কিইস। আজ তাঁর প্রিয় খেলোয়াড়ের বিপক্ষেই পেলেন অনন্য ও
অসাধারণ এক জয়।
বুধবার অনুষ্ঠিত কোয়ার্টার ফাইনালে ভেনাসের বিপক্ষে
দারুণ লড়াই করেই জিতেছেন কিইস। ঊরুর চোটও তাঁর জয়ের পথে দাঁড়াতে পারেনি
বাধা হয়ে। ছেলেবেলার আদর্শ ভেনাসের বিপক্ষে তাঁর জয়টা এসেছে ৬-৩, ৪-৬,
৬-৪ গেমে।
দারুণ এই জয়ে স্বভাবতই উচ্ছ্বসিত কিইস। ম্যাচ শেষে তিনি
স্বীকার করেছেন, ভেনাসের বিপক্ষে কোর্টে নামার আগে নিয়ন্ত্রণে নিতে হয়েছে
তাঁর আবেগ। কিছুটা ভয়ও নাকি পেয়েছিলেন। ভয়কে জয় করেই প্রিয়
খেলোয়াড়টির বিপক্ষে তুলে নিয়েছেন স্মরণীয় এক জয়। আরও একটি মজার তথ্যে
ভড়কেও দিয়েছেন অনেককেই। ভেনাস যখন টেনিস শুরু করেছিলেন কিইস তখন ছিলেন
দুই বছরের শিশু।
জয় তো মধুরই। ভেনাসের বিপক্ষে মাঠে নামাটাকেও বর্ণনা
করেছেন জীবনের অন্যতম আনন্দময় অভিজ্ঞতা হিসেবে, ‘ভেনাসের বিপক্ষে মাঠে
নেমেই আমি আনন্দিত ছিলাম। আর জয়, সেটা তো আমাকে নিয়ে গেছে আনন্দের অন্য
মাত্রায়।’
সেকেন্ড সেটে ঊরুর চোটের কারণে দীর্ঘক্ষণই কোর্টের বাইরে
থাকতে হয়েছিল কিইসকে। তবে তাঁর এই চোট ফাইনালে মাঠে নামার পথে কোনো বাধা
হয়ে দাঁড়াবে না বলেই আশাবাদ তাঁর, ‘চোটটা তেমন গুরুতর নয়। ফাইনালে এই
চোট আবার মাথাচাড়া দেবে না বলেই মনে হয় আমার।’
কিইসের বিপক্ষে হারের জন্য কোনো অজুহাত দাঁড় করাননি সাত বারের
গ্র্যান্ডস্লাম বিজয়ী ভেনাস উইলিয়ামস। তবে স্বীকার করেছেন কিইসের চোটের
কারণে খেলা বন্ধ থাকার সময় তিনি খেলার মনোযোগ হারিয়েছিলেন। তবে এটিকে
অজুহাত হিসেবে দাঁড় না করিয়ে উদীয়মান তারকা কিইসের কৃতিত্বকে খাটো করতে
চাননি ভেনাস, ‘অবশ্যই এটা টেনিস আইনেরই অংশ। যেকোনো খেলোয়াড়ই চোটের কারণে
“টাইমআউট” নিতে পারে। তবে এটা ঠিক যে আমি ওই সময়ই মনোযোগ হারিয়েছি।’
এর
পরপরই প্রতিদ্বন্দ্বী কিইসকে প্রশংসায় ভাসিয়েছেন তিনি, ‘কিইস দারুণ
খেলেছে। পুরো কৃতিত্বই ওর। আমি ওর চোটের ব্যাপারে সমব্যথী। আমি জানি অমন
পরিস্থিতিতে কী ধরনের হতাশা গ্রাস করে একজন খেলোয়াড়কে। আমি প্রশংসা করি
কিইসের ইচ্ছাশক্তির। এমন চোটের পরেও সে খেলায় ফিরেছে এবং ভালো খেলেই জয়
তুলে নিয়েছে।’ সূত্র: এএফপি।www.24banglanewspaper.com