শিরোনাম
Loading...

news review 1

reveunis 2

Phone-Video

মঙ্গলবার, ৬ জানুয়ারী, ২০১৫

বোমাবাজির শিকার ফেনীর এসএসসি পরীক্ষার্থী অনিক


আবার বোমাবাজির শিকার হচ্ছে মানুষ। ঘরের মানুষ বাইরে এলে থাকছে আতংকে। ফেনীতে এক মেধাবী ছাত্রের নাক ও মুখের মাঝামাঝি স্থান ঝলসে গেছে। ঝুঁকির মুখে পড়েছে তার চোখ। মেধাবী এ ছাত্রের নাম মিনহাজুল ইসলাম অনিক, সে এবার এসএসসি পরীক্ষার্থী। সোমবার বিকালে ফেনী শহরের মাস্টারপাড়ায় কোচিং শেষে বাসায় ফেরার পথে খেজুর চত্বরে অনিক বোমার স্পি­ন্টারে আহত হয়। তার নাক-মুখ থেকে রক্ত ঝরে। তাৎক্ষণিক তাকে স্থানীয় হাসপাতালে চিকিৎসা দিয়ে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেয়া হয়। মেধাবী এ ছাত্র ব্যথা ও যন্ত্রণায় হাসপাতালের বেডে কাতরাচ্ছে। পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, স্কুলে কোচিং শেষে বাসায় ফিরছিল মিনহাজুল ইসলাম ও সহপাঠী তারেক এবং সানী। বিকাল ৫টার দিকে শহরের খেজুর চত্বর পৌঁছলে হঠাৎ বিকট শব্দে বোমা বিস্ফোরণ ঘটে। ওই খেজুর চত্বর থেকে একশ’ গজ দূরে শহরের শহীদ মিনার চত্বরে আওয়ামী লীগের জনসভা চলছিল। বোমার আঘাতে মিনহাজ লুটিয়ে পড়ে। স্পি­ন্টারের আঘাতে মিনহাজুল ইসলামের চোখ-মুখ দিয়ে রক্ত ঝরতে থাকে। পরে স্থানীয় লোকজন ও পুলিশ তাকে উদ্ধার করে ফেনী সদর হাসপাতালে প্রেরণ করে। ডাক্তার তার অবস্থা আশংকাজনক দেখে ঢাকা মেডিকেল হাসপাতালে পাঠান। এ সময় আহত অন্য দুই ছাত্র তারেক ও সানী প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে বাসায় ফিরে গেছে।ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ১০৩ নম্বর ওয়ার্ডে অনিকের মা জেসমিন রহমান যুগান্তরকে জানান, সোমবার বিকালে তিনি তার ছেলেকে কোচিংয়ে যেতে বারণ করেন। তারপরও সে কোচিংয়ে যায়।জেসমিন রহমান কান্নাজড়িত কণ্ঠে বলেন, অনিক ফেনী পাইলট উচ্চ বিদ্যালয়ে পড়াশোনা করছে। জেএসসিতে সে গোল্ডেন এ প্লাস পেয়েছে। তার বাবা মিজানুর রহমান ওমানে থাকেন। তিনি ছেলের এ খবরে অস্থির হয়ে গেছেন। ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের চিকিৎসক রাশেদ মাহবুব জানান, অনিকের নাকে ও মুখের মাঝামাঝি স্থানে আঘাত লেগেছে। তার দুই চোখে তেমন আঘাত লাগেনি। নাকের ওপর ফুলে গেছে। চোখ দুটি আশংকামুক্ত বলেও জানান তিনি।www.24banglanewspaper.com

Related Post:

  • 0Blogger Comment
  • Facebook Comment

pop Earnings