বিএনপিকে কোনো ছাড় দেয়া হবে না : প্রধানমন্ত্রী
বিএনপিকে কোনো ছাড় দেয়া হবে না বলে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। মঙ্গলবার রাতে গণভবনে দলের কয়েকজন শীর্ষ নেতার সঙ্গে বৈঠককালে এ মনোভাব জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী তাদের রাজপথে সক্রিয় থাকার নির্দেশ দেন। নাশকতার জন্য দায়ীদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেয়া হবে বলেও হুশিয়ার করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সংশ্লিষ্ট সূত্র বুধবার রাতে যুগান্তরকে এ তথ্য জানিয়েছে। সূত্র জানায়, মঙ্গলবার রাতে গণভবনের ওই বৈঠকে দলের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক মাহবুবউল আলম হানিফ, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গীর কবির নানক, কেন্দ্রীয় নেতা ড. আবদুর রাজ্জাক, আবু সাঈদ আল মাহমুদ স্বপন, আহমদ হোসেন, এসএম কামাল হোসেন প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বিএনপির ওই দিনের বিভিন্ন কর্মকাণ্ড নিয়ে নেতাদের সঙ্গে আলোচনা করেন।প্রধানমন্ত্রী জাতীয় প্রেস ক্লাবের ঘটনা সম্পর্কে দলের নেতাদের কাছ থেকে জানতে চান। তখন নেতারা তাকে জানান, সরকারের বিরুদ্ধে গণমাধ্যমে অপপ্রচার চালিয়ে তাদের তথাকথিত আন্দোলন শক্তিশালী করতে বিএনপির সমর্থক সাংবাদিকদের সহযোগিতায় মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর জাতীয় প্রেস ক্লাবে আশ্রয় নেন। এটা সাধারণ সাংবাদিকদের ইচ্ছের বিরুদ্ধে করে বিএনপি সমর্থক জাতীয় প্রেস ক্লাব কর্তৃপক্ষ। পরে সাধারণ সাংবা
দিকরা এ নিয়ে সোচ্চার হন।প্রধানমন্ত্রী আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় নেতাদের চোখ-কান খোলা রাখার পরামর্শ দেন। তিনি বলেন, সরকারের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র অব্যাহত রয়েছে। তাই সবাইকে সতর্ক থাকতে হবে- যাতে বিএনপি কোনো ক্ষতি না করতে পারে।বাস্তবায়নাধীন প্রকল্পে নতুন দুটি বড় প্রকল্প অন্তর্ভুক্ত : বাসস জানায়, সরকারের অগ্রাধিকার ভিত্তিতে দ্রুত বাস্তবায়নাধীন ৬টি বড় প্রকল্পে আরও নতুন দুটি প্রকল্প অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে বুধবার প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত ফাস্ট ট্রাক মনিটরিং কমিটির তৃতীয় বৈঠকে এ নতুন মেগা প্রকল্প অন্তর্ভুক্ত করা হয়। প্রকল্প দুটি হল মাতারবাড়ি আলট্রাস সুপার ক্রিটিক্যাল কোলফায়ার্ড পাওয়ার প্রজেক্ট এবং পায়রা বন্দর প্রকল্প। প্রধানমন্ত্রীর প্রেস সেক্রেটারি একেএম শামীম চৌধুরী বৈঠক শেষে বলেন, বৈঠকে ইতিপূর্বে নেয়া ৬টি প্রকল্পের অগ্রগতি এবং মাতারবাড়ি পাওয়ার প্রজেক্ট নিয়ে আলোচনা করা হয়।বৈঠকে প্রধানমন্ত্রী স্ব স্ব দায়িত্ব যথাযথ পালনের মাধ্যমে নির্ধারিত সময়ে প্রকল্প কাজ সম্পন্ন করতে সংশ্লিষ্ট সবাইকে নির্দেশ দেন। বৈঠকে জানানো হয়, জাজিরা ও মাওয়া সাইডে পদ্মা সেতুর সংযোগ সড়কের নির্মাণ কাজ, সার্ভিস এরিয়া-২, রিভার ট্রেনিং ওয়ার্ক, রিভার ব্যাংক প্রটেকশন ওয়ার্ক, ভূমি অধিগ্রহণ এবং ক্ষতিগ্রস্তদের মধ্যে প্লট হস্তান্তর কাজ চলছে। পাশাপাশি দুটি পয়েন্টে মূল সেতুর জিওটেকনিক্যাল ইনভেস্টিগেশন কাজ শুরু হয়েছে। পরিবেশ ও বনমন্ত্রী আনোয়ার হোসেন মঞ্জু, পরিকল্পনামন্ত্রী এএইচএম মোস্তফা কামাল, সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের, নৌপরিবহনমন্ত্রী শাজাহান খান, ভূমিমন্ত্রী শামসুর রহমার ডিলু, প্রধানমন্ত্রীর খনিজসম্পদবিষয়ক উপদেষ্টা তৌফিক-ই-ইলাহী চৌধুরী, বিদ্যুৎ প্রতিমন্ত্রী নজরুল হামিদ বিপু ও বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিবিষয়ক প্রতিমন্ত্রী স্থপতি ইয়াফেস ওসমানসহ সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা সভায় উপস্থিত ছিলেন।www.24banglanewspaper.com