www.24banglanewspaper.comঅস্ট্রেলিয়া-নিউজল্যান্ড
ওয়ানডে বিশ্বকাপে বাংলাদেশের জন্য বড় চ্যালেঞ্জ ব্যাটিং। ম্যাচ জেতার জন্য
যেমন শুরুটা তেমনি ফিনিশিং ভালো করতে হবে। তবে একটু দ্রুত ব্যাট চালালে
বাংলাদেশের ব্যাটসম্যানরাও সফল হবেন বলে মনে করেন সাবেক অধিনায়ক শফিকুল হক
হীরা। অস্ট্রেলিয়ার কন্ডিশন সম্পর্কে তার ভালো ধারণা রয়েছে। কাল যুগান্তরকে
শফিকুল হক হীরা বলেন, ‘আমাদের উপমহাদেশের কন্ডিশনে যে ধরনের পেস বল হয়,
ওখানকার কন্ডিশনে সেগুলো আরও গতিময় হবে। বল দ্রুত আসবে। তাই
ব্যাটসম্যানদেরও একুট দ্রুত শট নিতে হবে। বল খেলার জন্য কম সময় পাওয়া যাবে
ওখানে। ব্যাট চালাতে হবে সেভাবে।’
জিম্বাবুয়ের
বিপক্ষে ওয়ানডে সিরিজে দুটি ম্যাচে একশর বেশি রান এসেছিল তামিম ইকবাল ও
এনামুল হকের ওপেনিং জুটি থেকে। তার আগে প্রায় এক বছর ওপেনিং জুটি বেশি
ভুগিয়েছে বাংলাদেশকে। ওয়ানডে বিশ্বকাপের আগে তামিমের ইনজুরি কিছুটা বিপাকে
ফেলে দিয়েছে নির্বাচকদের। শফিকুল হক হীরা বলেন, ‘তামিম ৫০ ভাগ সুস্থ থাকলেও
নির্বাচকরা তাকে খেলানোর চেষ্টা করবেন। সেটাও ঠিক হবে। তামিম বাংলাদেশের
জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ একজন খেলোয়াড়। তবে তামিম খেলতে না পারলে তার
পরিবর্তে ইমরুলকেই ওপেনিং করানো উচিত। ইমরুল ওই কন্ডিশনে ভালো খেলে। এর আগে
নিউজিল্যান্ড সফরে তার একটা সেঞ্চুরি রয়েছে। সে আগ্রাসী আবার ডিফেন্সও
করতে পারে ভালো। এছাড়া বিকল্প শামসুর রহমানও তো আছে।’ তিনি বলেন, ‘ওয়ানডেতে
সব ব্যাটসম্যানকেই ওপেনিংয়ে খেলার মতো যোগ্যতা রাখতে হয়। যেটা বড় দলগুলোর
ক্ষেত্রে হয়।’এদিকে আরেক ওপেনার
এনামুলকে নিয়ে আশাবাদী শফিকুল হক হীরা। তিনি বলেন, ‘অস্ট্রেলিয়ার কন্ডিশনে
এনামুলের ভালো অভিজ্ঞতা রয়েছে। সে অনূর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপে অনেক রান পেয়েছিল।
এছাড়া রানের মধ্যে আছে। মুমিনুল (হক), রিয়াদ (মাহমুদউল্লাহ) ও মুশফিক
(মুশফিকুর রহিম) ভালো করতে পারে।’ তিনি বলেন, ‘ওয়ানডাউনে মুমিনুলের বিকল্প
কেউ হতে পারে না। তার রানই বলে দেয় সে এই জায়গায় ফিট। তার ধ্যান-ধারণা রান
করা নিয়েই। ক্রিকেট খেলতে এসেছি, ক্রিকেট খেলব- এমন ধারণা নিয়েই চলে
মুমিনুল।’তিনি বলেন, ‘যারা পুল ও
স্কোয়ার ভালো খেলতে পারে তারা রান পাবে এবং সফল হবে।’ তবে সাত নম্বর জায়গা
নিয়ে শফিকুল হকের মত একটু ভিন্ন। এই জায়গাটায় এই সাবেক অধিনায়কের পছন্দ
শুভাগত হোম। তিনি বলেন, ‘লক্ষ্য করলে দেখা যায় ভারত ও অস্ট্রেলিয়া সিরিজে
অফ-স্পিনারদের প্রাধান্য রয়েছে। বিশ্বকাপের এই ধাঁচের স্পিনাররা নিজ দলের
হয়ে অবদান রাখতে পারবে। এ কারণেই শুভাগত হোমের অফ-স্পিনারকে আমি কাজে
লাগানোর ওপর গুরুত্ব দিয়েছি। নাসির ও সাব্বির একটু মেরে খেলে রান করে। এই
জায়গায় আমি মনে করি একজন ক্লাসিক ব্যাটসম্যানের দরকার। যে চার মারতে পারে,
সিঙ্গেল-ডাবল বের করে বেশি রান নিতে পারে। অস্ট্রেলিয়ার মাঠগুলো একটু বড়
হয়, তাই ছয় মারতে গেলে আউট হওয়ার সম্ভাবনা থাকে বেশি। মেলবোর্নে তো দৌড়েও
চার রান নেয়া যায়। এদিক থেকে বিবেচনা করলে শুভাগত হোম এই কন্ডিশনের জন্য
ফিট।’শফিকুল হকের বিশ্বকাপের দল :
তামিম ইকবাল, এনামুল হক, মুমিনুল হক, ইমরুল কায়েস, মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ,
সাকিব আল হাসান, মুশফিকুর রহিম, শুভাগত হোম, মাশরাফি মুর্তজা, আরাফাত সানি,
তাইজুল ইসলাম, রুবেল হোসেন, শফিউল ইসলাম, জুবায়ের হোসেন ও আল-আমিন হোসেন।