একটা
ফুটবল ম্যাচে কী হতে পারে? গোল, আত্মঘাতী গোল, আক্রমণ-প্রতি আক্রমণ,
হাতাহাতি, বিতর্কিত সিদ্ধান্ত, লাল কার্ড? পরশু ভিসেন্তে ক্যালদেরন দেখেছে
সবকিছুই। অ্যাটলেটিকো মাদ্রিদের সঙ্গে বার্সেলোনার ৩-২ গোলের জয়টাকে শুধু
স্কোরলাইন দেখে ব্যাখ্যা করা অসম্ভব। তবে সরল সত্যটা হলো, এই জয়ের সঙ্গে
প্রথম লেগের ১-০ জয় মিলিয়ে মোট ৪-২ গোলে জয়ী বার্সেলোনা আরেকটি কোপা ডেল
রে শিরোপা থেকে দুই পা দূরে। সেমিফাইনালে তাদের সামনে পড়বে
ভিয়ারিয়াল-গেটাফে কোয়ার্টার ফাইনালের বিজয়ীরা।
ঘুম ঘুম চোখে যাঁরা
বার্সেলোনা-অ্যাটলেটিকো কোয়ার্টার ফাইনালের দ্বিতীয় লেগের লড়াইটা দেখতে
চোখ রেখেছিলেন টিভি পর্দায়, এক মিনিটের মধ্যেই সেটা উধাও। নড়েচড়ে বসার আগেই
দেখা গেল, ফার্নান্দো তোরেস গোলের উদ্যাপন করছেন। খেলার তখন মাত্র ৩৮
সেকেন্ড! রিয়াল মাদ্রিদের পর বার্সেলোনাকেও হতভম্ব করে দিলেন প্রথম মিনিটের
গোলে। এরপর যা হয়েছে, তাতে তোরেসকে নিয়ে বিস্ময়ানুভূতিটা চাপা পড়ে গেছে।
দুবার পিছিয়ে পড়ে সমতা ফিরিয়েছে বার্সেলোনা। আট মিনিট পরই নেইমারের গোলে
সমতা ফেরানোর পর রাউল গার্সিয়ার পেনাল্টিতে আবার এগিয়ে যায় অ্যাটলেটিকো।
মিরান্ডার আত্মঘাতী গোলে আবার সমতা ফেরানোর পর নেইমারই বার্সাকে এগিয়ে
দিয়েছেন দুর্দান্ত এক প্রতি-আক্রমণে। ম্যাচটি তার ভাগ্য এভাবে গড়ে নিয়েছে
কিন্তু প্রথমার্ধেই।
তবে বিতর্ক আছে দুই দলের গোল নিয়েই। অ্যাটলেটিকোর
পেনাল্টিটাও যথার্থ ছিল না। হুয়ান ফ্রানকে করা মাচেরানোর ফাউলটি বক্সের
বাইরে ছিল বলেই মনে হয়েছে। পরে গ্রিজমানের শট বক্সের ভেতর জর্ডি আলবার হাতে
লাগলেও পেনাল্টি দেননি রেফারি। বরং ওখান থেকেই অনেক দিন মনে রাখার মতো এক
প্রতি-আক্রমণে নেইমার স্তব্ধ করে দিয়েছেন ক্যালদেরনকে। সার্জিও বুসকেটস
অবশ্য পরে স্বীকার করেছেন, ‘রেফারির দুটি সিদ্ধান্তই ছিল ভুল।’
প্রথমার্ধেই
ফুটবলের রোমাঞ্চ উপভোগ করেছেন দর্শকেরা, দ্বিতীয়ার্ধে যতটা না ফুটবল
হয়েছে, তার চেয়ে বেশি ছড়িয়েছে উত্তাপ। বিরতির পর সবাই সবিস্ময়ে দেখলেন,
অ্যাটলেটিকো ১০ জন নিয়ে নেমেছে। পরে জানা গেল, প্রথমার্ধ শেষে টানেলের
ভেতরেই লাল কার্ড দেখেছেন গাবি। অ্যাটলেটিকো অধিনায়ক অবশ্য দাবি করেছেন,
‘আমি শুধু তাঁকে (রেফারিকে) বলেছিলাম, তিনি একটা ভুল করেছেন। তিনি আমাকে
বললেন, আমি আর নামতে পারব না। আমি আর কিছুই বলিনি।’
সিদ্ধান্তটা ঠিক কি
না, সে নিয়ে তর্ক হতে পারে, তবে অ্যাটলেটিকোর আরদা তুরানের লাল কার্ড না
দেখাটা অবিশ্বাস্যই। দ্বিতীয়ার্ধে সহকারী রেফারির দিকে জুতা ছুড়ে মেরেও
তুর্কি মিডফিল্ডার দেখেছেন হলুদ কার্ড! পরে মারিও সুয়ারেজও লাল কার্ড দেখায়
অ্যাটলেটিকোকে ম্যাচ শেষ করতে হয়েছে নয়জন নিয়ে। more- www.24banglanewspaper.com