লোডভিক ডি ক্রুইফ ম্যাচোত্তর সংবাদ সম্মেলনে এলেন চোখ-মুখে রাজ্যের
অন্ধকার নিয়ে। বিব্রত, বিচলিত। কী বলবেন বুঝে পাচ্ছিলেন না। নিজেকে সামলে
প্রথমেই বললেন, ‘প্রথম ২৫-৩০ মিনিটেই ম্যাচটা আমরা হারিয়ে ফেলেছি। ওই সময়
এমনই নার্ভাস ছিল ছেলেরা। এটা থেকে বেরিয়ে আসার উপায় দেখছি না।’
কিন্তু
উপায় তো বের করতেই হবে। নইলে ডি ক্রুইফ আছেন কেন? গত আগস্টে নেপালের সঙ্গে
প্রীতি ম্যাচের পর এই সিলেট স্টেডিয়ামেই ঠিক যে কথা বলেছিলেন, কালও ডাচ
কোচের মুখে একই উচ্চারণ, ‘এত দর্শকের সামনে বাংলাদেশ দল খেলতে অভ্যস্ত নয়,
প্রত্যাশার চাপ সামলাতে তারা জানে না।’ মালয়েশিয়া যুবদলের কাছে হারের কারণ
কাটাছেঁড়া করতে গিয়ে বারবারই ফিরে এল সেই পুরোনো কথাগুলো।
মানসিকতাকেই
এক নম্বর সমস্যা বলছেন ডি ক্রুইফ। তাহলে কি দলে একজন মনোবিদ প্রয়োজন?
প্রশ্নটা যেন লুফে নিলেন বাংলাদেশ কোচ, ‘হ্যাঁ, মানসিক সমস্যা কাটাতে এটা
একটা ভালো বিকল্প হতে পারে।’ তবে এসবের মধ্যেও দ্বিতীয়ার্ধে দলের খেলায়
প্রশংসা করলেন। ওই সময়টা ঘুরে দাঁড়িয়ে সুযোগ তৈরি করেছে বাংলাদেশ, যা
নিয়ে কোচও কিছুটা সন্তুষ্ট।
তিনটি ভালো সুযোগ নষ্ট করেছেন এমিলি। তবে
তাঁকে দায় দিতে রাজি হননি কোচ, ‘এই ব্যর্থতার দায় দিন শেষে আমারই। এককভাবে
কোনো খেলোয়াড়কে কাঠগড়ায় তোলা ঠিক নয়।’ জাহিদ প্রসঙ্গও এসেছে। এই
উইংগারের খেলায় অবশ্য কোচ খুশিই। মিডফিল্ডার মামুনুলকে সেভাবে খুঁজে পাওয়া
যায়নি প্রথমার্ধে। এসব নিয়ে আর কথা বাড়াতে চাইলেন না কোচ। কিন্তু যখন এল
হারের কথা, আবার বেরিয়ে এল তাঁর হতাশাটা, ‘খুবই কষ্ট পেয়েছি এই হারে। এই ফল
মেনে নেওয়া যায় না। সত্যিই বিব্রত।’
মালয়েশিয়ার যুবদলের কোচ বাজিপ
ইসমাইল সংবাদ সম্মেলনে এলেন ফুরফুরে মেজাজেই। দরাজ প্রশংসা করে গেলেন তাঁর
খেলোয়াড়দের। গোল ধরে রাখতে যেভাবে সম্মিলিতভাবে রক্ষণ সামলেছেন তাঁর
খেলোয়াড়েরা, তাতে বেশ সন্তুষ্ট কোচ, ‘আমরা একটা পরিকল্পনা নিয়ে নেমেছিলাম।
বাংলাদেশকে খেলতে না দেওয়ার ছক ছিল আমাদের শুরু থেকেই। সে অনুযায়ীই ছেলেরা
খেলেছে। গোল করে সেটি ধরে রেখেছে। আমি তৃপ্ত।’
বাংলাদেশ জাতীয় দলকে হারিয়ে তাঁর তো তৃপ্ত হওয়ারই কথা। কিন্তু ডি ক্রুইফ কীভাবে সামলাবেন এই বিব্রতকর হারের ধাক্কা? more- www.24banglanewspaper.com