শিরোনাম
Loading...

news review 1

reveunis 2

Phone-Video

বৃহস্পতিবার, ১ জানুয়ারী, ২০১৫

মানুষের ক্রয়ক্ষমতা বাড়লেই শিল্পের বিকাশ হয়: প্রধানমন্ত্রী


বাংলাদেশের মানুষের ক্রয়ক্ষমতা বৃদ্ধি পেয়েছে উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বলেছেন, মানুষের ক্রয় ক্ষমতা বাড়লেই শিল্পের বিকাশ হয়। বিশ্বে অর্থনৈতিক মন্দার মধ্যেও বাংলাদেশের অর্থনীতি এগিয়ে গেছে। বিশ্বজুড়ে অর্থনৈতিক মন্দার কোনো প্রভাব বাংলাদেশে পড়েনি। প্রায় ৫ কোটি মানুষ নিম্নবিত্ত থেকে মধ্যবিত্তে উন্নীত হয়েছে। সরকারি-বেসরকারিভাবে নতুন করে প্রায় ১ কোটি মানুষের কর্মসংস্থান হয়েছে বৃহস্পতিবার ঢাকা আন্তর্জাতিক বাণিজ্য মেলার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন। রাজধানীর বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমরা কারও কাছে শুনতে চাইনা বাংলাদেশ দরিদ্র দেশ। ২০০৫ সালের দারিদ্র্যের হার ছিল ৪০ শতাংশ। আমরা তা ২৪ শতাংশে নেমে এনেছি। ৫ কোটি বেশি মানুষ নিম্নবিত্ত থেকে মধ্যবিত্তে উঠে এসেছে। সরকারি-বেসরকারি মিলিয়ে ১ কোটিরও বেশি মানুষের কর্মসংস্থান হয়েছে।শেখ হাসিনা বলেন, মুদ্রাস্ফীতি আমরা সিঙ্গেল ডিজিটে নিয়ে এসছি। গত নভেম্বরে সহনীয় ৬.২১ শতাংশ ছিল। মায়ানমার এবং ভারতের সাথে সমুদ্র বিজয়ের ফলে সমুদ্র-কেন্দ্রিক ব্লু-ইকোনমি সম্প্রসারণের সুবর্ণ সুযোগ তৈরি হয়েছে। বিগত কয়েক বছর ধারাবাহিকভাবে আমাদের জিডিপি বেড়েছে ৬.২ শতাংশ হারে। মাথাপিছু আয় ২০০৫-০৬ অর্থবছরের ৬৩০ ডলার থেকে বৃদ্ধি পেয়ে ১২০০  ডলারে  উন্নীত  হয়েছে। বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ এখন ২২.২৩ বিলিয়ন ডলার।বর্তমানে আমরা ৭২৯টি পণ্য বিশ্বের ১৯২টি দেশে রপ্তানি করছি উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ২০০৫-২০০৬ অর্থবছরে রপ্তানির পরিমাণ ছিল ১০.১২ বিলিয়ন মার্কিন ডলার। গত অর্থবছরে আমাদের রপ্তানির পরিমাণ বৃদ্ধি পেয়ে দাঁড়িয়েছে ৩০.১৯ বিলিয়ন ডলারে। অর্থাৎ ৩গুণ বৃদ্ধি পেয়েছে। বিগত পাঁচ বছরে আমাদের রপ্তানির গড় প্রবৃদ্ধির হার ছিল শতকরা ১৪.৯০ ভাগ। আমাদের প্রতিবেশী ও প্রতিযোগী দেশগুলোর তুলনায় এই প্রবৃদ্ধি অর্জন ছিল ঈর্ষনীয়।তিনি আরও বলেন, তৈরি পোশাক রপ্তানির ক্ষেত্রে বিশ্বে আমাদের অবস্থান দ্বিতীয়। চীনের পরেই আমাদের স্থান। এই অবস্থানকে ধরে রাখতে হবে। নতুন বাজার খুঁজতে হবে, নতুন পণ্য রপ্তানিতে যোগ করতে হবে। ২০২১ সালের মধ্যে পোশাক রপ্তানির পরিমাণ ৫০ বিলিয়ন ডলারে উন্নীত করার পরিকল্পনা আমি মনে করি এই লক্ষ্য পূরণ করা সম্ভব। এজন্য প্রয়োজন আপনাদের প্রচেষ্টা আর সরকারের সহযোগিতা।অনুষ্ঠানে অন্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ, বাণিজ্য মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় কমিটির সভাপতি তাজুল ইসলাম চৌধুরী, এফবিসিসিআই প্রেসিডেন্ট কাজী আকরাম উদ্দীন আহমেদ। স্বাগত বক্তব্য রাখেন রপ্তানী উন্নয়ন ব্যুরো(ইপিবি)র ভাইস চেয়ারম্যান শুভাসিস বোস।পরে প্রধানমন্ত্রী পাশের মেলা প্রাঙ্গণের কয়েকটি স্টল ঘুরে দেখেন।এবারের মেলায় বিভিন্ন ক্যাটাগরির মোট প্যাভিলিয়নের সংখ্যা ৯৭ টি। মোট মিনি প্যাভিলিয়নের সংখ্যা ৫৮ টি। মোট স্টলের সংখ্যা ৩৫১ টি। রেস্তোরাঁ ১০ টি, মা ও শিশু পরিচর্যা কেন্দ্র ০৪ টি। যার মধ্যে লে-আউট প্লান অনুযায়ী মোট ৫১৬ টি স্টল বা প্যাভিলিয়ন রয়েছে এবারের বাণিজ্য মেলায়।এশিয়া, উত্তর আমেরিকা, অস্ট্রেলিয়া এবং ইউরোপ মহাদেশ থেকে বাংলাদেশসহ ১৫টি দেশ মেলায় অংশ নিচ্ছে। যাদের মধ্যে ভারত, পাকিস্তান, চীন, মালয়েশিয়া, ইরান, থাইল্যান্ড, যুক্তরাষ্ট্র, তুরস্ক, সিঙ্গাপুর, অস্ট্রেলিয়া, বৃটেন, সংযুক্ত আরব আমিরাত, দক্ষিণ কোরিয়া এবং জামার্নি।প্রতিদিন সকাল ১০টা থেকে রাত ১০টা পর্যন্ত মেলা খোলা থাকবে। মেলার প্রবেশমূল্য প্রাপ্ত বয়স্কদের জন্য জনপ্রতি ৩০ টাকা এবং অপ্রাপ্ত বয়স্কদের জন্য জনপ্রতি ২০ টাকাwww.24banglanewspaper.com

Related Post:

  • 0Blogger Comment
  • Facebook Comment

pop Earnings