www.24banglanewspaper.comবিশ্বের
অন্য দেশের মতো বাংলাদেশেও উদযাপিত হয়েছে খ্রিস্টান সম্প্রদায়ের প্রধান
ধর্মীয় উৎসব বড়দিন। এ উপলক্ষে রাজধানী ঢাকাসহ সারা দেশের গির্জায় বিশেষ
প্রার্থনা করা হয়। বর্ণিল সাজে ছিল ক্রিসমাস ট্রি। গির্জা, বঙ্গভবনসহ
বিভিন্ন স্থাপনায় রঙবেরঙের আলোকসজ্জা করা হয়। সঙ্গে ছিল সান্তাক্লসের উপহার
আর মজার মজার খাবার।
যিশুখ্রিস্টের
জন্মদিন বা বড়দিন উপলক্ষে বৃহস্পতিবার বঙ্গভবনে খ্রিস্টান ধর্মাবলম্বীদের
সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময় করেন রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ। রাষ্ট্রপতি বড়দিন
উপলক্ষে কেক কাটেন। এ সময় অসাম্প্রদায়িক বাংলাদেশ গঠনে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ
করতে সবার প্রতি আহ্বান জানান তিনি। রাষ্ট্রপতি বলেন, আবহমানকাল থেকে এ
দেশের মানুষ ভালোবাসা ও সম্প্রীতির বন্ধনে আবদ্ধ। বিদ্যমান সম্প্রীতির এই
সুমহান ঐতিহ্যকে আরও সুদৃঢ় করতে সবাইকে নিজ নিজ অবস্থান থেকে অবদান রাখতে
হবে।রাষ্ট্রপতি বলেন, যিশুখ্রিস্ট
সৃষ্টিকে ভালোবাসা ও সেবার পাশাপাশি জাগতিক সুখের পরিবর্তে ত্যাগ, সংযম ও
দানের মাধ্যমে পরমার্থিক সুখ অর্জনের ওপর গুরুত্ব দিয়েছেন। তার মর্মবাণী
সমস্যাসংকুল বিশ্বে শান্তি স্থাপনে খুবই প্রাসঙ্গিক বলে আমি মনে করি।
খ্রিস্টান সম্প্রদায়ের বিভিন্ন শ্রেণী-পেশার মানুষের সঙ্গে শুভেচ্ছা
বিনিময়ের সময় রাষ্ট্রপতির স্ত্রী রাশিদা খানম উপস্থিত ছিলেন।এ
সময় ধর্মমন্ত্রী মতিউর রহমান, সমাজকল্যাণ প্রতিমন্ত্রী প্রমোদ মানকিন,
আর্চবিশপ প্যাট্রিক ডি রোজারিও, বিশপ মাইকেল রোজারিও, ফাদার গ্যাব্রিয়েল
কোরাইয়া এবং বাংলাদেশ খ্রিস্টান অ্যাসোসিয়েশনের মহাসচিব নির্মল রোজারিও
উপস্থিত ছিলেন। এছাড়া যুক্তরাজ্যের হাইকমিশনার রবার্ট গিবসন, ইউরোপীয়
ইউনিয়নের রাষ্ট্রদূত পিয়েরে মায়াদুন, রাশিয়ার রাষ্ট্রদূত আলেক্সজান্দার এ
নিকোলায়েভসহ বিভিন্ন দেশের রাষ্ট্রদূতরা রাষ্ট্রপতি ও তার স্ত্রীর সঙ্গে
শুভেচ্ছা বিনিময় করেন।রাজধানীর বিজয়
সরণি চত্বর থেকে ফার্মগেট এবং উড়োজাহাজ চত্বরও সাজানো হয় বড়দিনের সাজে।
গির্জাগুলোতে বুধবার রাত থেকে প্রার্থনা ছাড়াও ছিল সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান।
বৃহস্পতিবার বেলা ১১টার দিকে রাজধানীর তেজগাঁওয়ে গির্জায় প্রার্থনার মধ্য
দিয়ে শেষ হয় বড়দিনের ধর্মীয় আচার। চার্চে গির্জার ফাদার আলবার্ট রোজারিওর
সঙ্গে দিনের শেষ প্রার্থনায় অংশ নেন খ্রিস্টান সম্প্রদায়ের মানুষ।
প্রার্থনায় দেশ, জাতি, মানুষের মঙ্গল ও মিলন কামনা করে বলা হয়,
জাতি-ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে বড়দিন সবার। তিনি সবাইকে ভেদাভেদ ভুলে যাওয়ার
আহ্বান জানান।