রাজধানীর
শাহজাহানপুরে পরিত্যক্ত পানির পাইপের লাইনের গভীর থেকে উদ্ধার হওয়া শিশু
জিহাদের মরদেহের ময়নাতদন্ত সম্পন্ন হয়েছে। রোববার সকাল ৯টায় ঢাকা মেডিকেল
কলেজ হাসপাতালে ময়নাতদন্ত শুরু হয়ে শেষ হয় ১০টায়।
এরপর
সেখান থেকেই জিহাদের লাশ নিয়ে মা খাদিজা আক্তার ও মামা মনির হোসেনকে নিয়ে
বাবা নাসির বকুল সরাসরি শরিয়তপুরের গ্রামের বাড়ির উদ্দেশে রওনা দেন।গ্রামের
বাড়িতে জানাজার নামাজের পর আজই তার দাফন সম্পন্ন করা হবে বলে জানিয়েছেন
জিহাদের বাবা। ঢাকা মেডিকেল কলেজ
হাসপাতালের ফরেনসিক বিভাগের প্রধান অধ্যাপক হাবিবুজ্জামানের নেতৃত্বাধীন
তিন সদস্যের তদন্ত কমিটি জিহাদের ময়না তদন্ত করেন। কমিটির অন্য সদস্যরা
হলেন, চিকিৎসক একে এম শফিউজ্জামান ও প্রদীপ কুমার বিশ্বাস।ময়না
তদন্তের রিপোর্টে বলা হয়, পানিতে ডুবে মারা গেছে শিশু জিহাদ। গর্তে পড়ে
যাওয়ার দুই ঘন্টা পর্যন্ত বেঁচে ছিল সে। এছাড়া দেহে ও মাথায় আঘাত পেয়েছে
বলে রিপোর্টে উল্লেখ করা হয়।জিহাদের
বাবা জানান, শাহজাহানপুরে জিহাদের লাশ নিয়ে আসবেন না। তিনি জানান, সময়ের
স্বল্পতার কারণে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল থেকে জিহাদের মরদেহ নিয়ে
শরিয়তপুরে যাবেন তারা। আজই জানাজার নামাজ শেষে জিহাদের দাফন সম্পন্ন করবেন।শনিবার
বেলা ৩টার কয়েকজন তরুণের বুদ্ধিমত্তায় ও স্থানীয়দের সহযোগিতায় জিহাদকে
উদ্ধার করা হয়। হাসপাতালে নেয়ার পরে চিকিৎসক জানান, অনেক আগেই সে মারা
গেছে। এর আগে ফায়ার সার্ভিসের দীর্ঘ ২৩ ঘণ্টার অভিযানে শিশু জিহাদকে
উদ্ধার করা যায়নি। ফায়ার সার্ভিস উদ্ধার অভিযান স্থগিত করার ১০ মিনিট পরই
জিহাদের মরদেহ উদ্ধার করে ওই তরুণরা।অথচ
এর আগে ফায়ার সার্ভিস, প্রশাসনিক কর্তৃপক্ষ এমনকি স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী
পর্যন্ত জানিয়েছে উচ্চ ক্ষমতাসম্পন্ন ক্যামেরা নামিয়েও কোন মানুষের
অস্তিত্ব মেলেনি পাইপের লাইনে। ক্যামেরায় ময়লা-আবর্জনা ও কীটপতঙ্গ দেখা
গেছে। পাইপের ভেতরে কোন মানুষের অস্তিত্ব নেই। পুরো বিষয়টিকে গুজব বলেও
উড়িয়ে দেন তারা।শুক্রবার সাড়ে ৩টার দিকে খেলতে গিয়ে রাজধানীর শাহজাহানপুরে পরিত্যক্ত পাইপের লাইনের ভেতর পড়ে যায় শিশু জিহাদ।www.24banglanewspaper.com