শিরোনাম
Loading...

news review 1

reveunis 2

Phone-Video

বৃহস্পতিবার, ২৭ নভেম্বর, ২০১৪

দুই ম্যাচ হাতে রেখেই সিরিজ জয়

www.24banglanewspaper.comস্টেডিয়ামের বড় পর্দায় ভেসে উঠল—বাংলাদেশ ১২৪ রানে জয়ী। গ্যালারিতে লাল-সবুজ পতাকার ওড়াউড়ি দেখেও বোঝা গেল, একটু আগে শেষ হওয়া ম্যাচের জয়ী দলের নাম বাংলাদেশ। নইলে ম্যাচের পর বাংলাদেশ দলের খেলোয়াড়দের শরীরী ভাষা দেখে বোঝার উপায় ছিল না ম্যাচটা আসলে তাঁরাই জিতেছেন। দুই ম্যাচ বাকি থাকতে জয় সিরিজও। কারও কোনো উচ্ছ্বাস নেই। কোনো উদ্যাপন নেই। শুধু জিম্বাবুয়ের খেলোয়াড়দের সঙ্গে হাত মিলিয়ে ড্রেসিংরুমে ঢুকে গেলেন সবাই।জিম্বাবুয়েকে হারানোটা এই সিরিজে ডাল-ভাতের মতো হয়ে গেছে। বাংলাদেশি খেলোয়াড়দের মধ্যে বাড়তি উচ্ছ্বাস না থাকার সেটা একটা কারণ হতে পারে। অথবা বাংলাদেশের ২৯৭ রানের জবাবে ৮২ রানে ৫ উইকেট হারানো জিম্বাবুয়ে যে হারতেই যাচ্ছে, সেটা বোঝা হয়ে গিয়েছিল আগেই। এমন সহজলভ্য অর্জন নিয়ে আনন্দ-উল্লাস তেমন হবে না, এটাই তো স্বাভাবিক।বাংলাদেশ দলের জন্য এই ম্যাচ ছিল সিরিজ জয়ের উপলক্ষ, জিম্বাবুয়ের জন্য সিরিজে টিকে থাকার। তবে টেস্ট সিরিজে ধবলধোলাইয়ের পর প্রথম দুই ওয়ানডেতেও বাংলাদেশ যে রকম দোর্দণ্ড প্রতাপে জিতেছে, তাতে কালকের ম্যাচে জিম্বাবুয়ে জিতলে সেটা হতো বড় এক অঘটনই। প্রথম তিন ওয়ানডেতে দুই দলের মধ্যে ব্যবধান এতটাই যে, সিরিজের শুরুতে আলোচিত শিশির-তত্ত্বকে এখন অসার মনে হচ্ছে। তিন ম্যাচেই পরে বোলিং করে জিতেছে বাংলাদেশ। শিশির নিয়ে কথা বলার আর সুযোগ কই?কালও টসে হেরে ব্যাট করতে নামে বাংলাদেশ দল এবং কালও ওপেনিং জুটিতে হলো দারুণ শুরু। দলের ১২১ রানের সময় তামিম ইকবালের রানআউটে জুটিটা ভাঙলেও একটা পর্যায়ে মনে হচ্ছিল, আগের ম্যাচের মতো বুঝি এই ম্যাচেও ওপেনিং জুটিতে চলে আসবে দেড় শর বেশি রান। রানআউট সব সময়ই দুর্ভাগ্যজনক। তবে তামিমের এই আউটটা আক্ষরিক অর্থেই। হ্যামিল্টন মাসাকাদজার একটা বল এনামুল ডিপ মিড উইকেটের দিকে ঠেলে দিলে ২ রান নিতে দৌড়ান দুই ওপেনার। কিন্তু শেষ মুহূর্তে এসে হাত থেকে ব্যাট ছুটে গেলে দ্বিতীয় রানটা আর পূর্ণ করতে পারেননি তামিম। ব্রেন্ডন টেলরের থ্রো থেকে মাসাকাদজা যখন স্টাম্প ভেঙে দিচ্ছিলেন, তামিমের ভেতরের পা তখনো শূন্যে। আগের ম্যাচে ৭৬ করে রানআউট হয়ে সেঞ্চুরিবঞ্চিত, কাল ১০ রানের জন্য ফিফটি মিস করলেন একইভাবে আউট হয়ে। তামিমের ৪০ রানের ইনিংসেই অবশ্য আছে দুটি বাউন্ডারি আর তিনাশে পানিয়াঙ্গারার করা ইনিংসের প্রথম ওভারে মিড উইকেট দিয়ে মারা একটা ছক্কা।এনামুল অবশ্য নিজেকে তামিমের চেয়েও বড় হতভাগা মনে করতে পারেন। মাত্র ৫ রানের জন্য সেঞ্চুরি মিস করেছেন! ১২০ বলে ৯৫ রান করলেন নিখুঁত ব্যাটিংয়ে। তামিমের সঙ্গে জুটিটা ছাড়াও দ্বিতীয় উইকেটে মুমিনুল হকের সঙ্গে জুটি হয়েছে ৩৯ রানের। কিন্তু দলের ১৬০ রানে মুমিনুল আউট হওয়ার ১ ওভার পর কামুনগোজির নির্দোষ এক শর্ট বলে পুল খেলে ক্যাচ দিলেন ডিপ মিড উইকেটে। সেঞ্চুরির এত কাছে গিয়েও হতাশার দীর্ঘশ্বাস নিয়ে ফিরে আসার দায় এনামুল চাপাতে পারেন কেবল ভাগ্যের ওপরই।বাংলাদেশের ইনিংসে এনামুলের ৯৫-ই সর্বোচ্চ ব্যক্তিগত সংগ্রহ। দ্বিতীয় সর্বোচ্চ তামিম ও সাকিব আল হাসানের ৪০ রান। তার পরও যে মোট রানটা তিন শর কাছাকাছি গেল, তাতে ভূমিকা আছে সাকিব-মুশফিকুর রহিমের ৭২ রানের চতুর্থ উইকেট জুটিরও। তবে ‘ফিনিশিং টাচ’ দিয়েছেন মাহমুদউল্লাহ আর সাব্বির রহমান। ষষ্ঠ উইকেটে মাত্র ৫ ওভারে তাঁরা গড়েছেন ৪৬ রানের জুটি। সাব্বিরের ১৩ বলে ২২ রানের ইনিংস মনে করিয়ে দিচ্ছিল চট্টগ্রামে তাঁর অভিষেক ম্যাচটাকে।

Related Post:

  • 0Blogger Comment
  • Facebook Comment

pop Earnings