আত্মহত্যা এখন মারাত্মক সামাজিক ব্যাধিতে পরিণত হয়েছে।
হলিউড,বলিউড,ঢালিউড,শোবিজ তারকা থেকে শুরুকরে হাল যুগের ডিজিটাল প্রেমের
বাজার সহ সর্বক্ষেত্রেই চলছে আত্মহত্যার বিভৎস জয়োল্লাস। ।“ব্যর্থতা
সাফল্যের সোপান” এই প্রবাদটি এখন মিথ্যা প্রমানিত হচ্ছে।
চট্টগ্রামের রাউজানে পরকিয়া বা প্রেম ঘটিত কারণে এক সপ্তাহের মধ্যে ৫টি প্রানের বিনিময়ে আত্মহত্যার ঘটনা ঘটেছে ৪টি।সর্বশেষ গত ২৪ সেপ্টেম্বর বুধবার দুপুরে এ মিছিলে যোগ দিলেন উপজেলার নোয়াজিশপুর নতুনহাট এলাকার এক নববধু।
বিয়ের ২১ দিনের মাথায় হাতের মেহেদীর রং মুছার আগেই ঘরের পাখার সাথে গলায় উড়না পেছিয়ে আত্মহত্যা করেছে এক নব বধু। এদিন বিকেল ৫টার দিকে রাউজান থানা পুলিশ নববধুর ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করে মর্গে পাঠিয়েছে। আত্মহুতি দেয়া নব বধুর নাম রিমা আকতার (২২)। সে নোয়াজিশপুর ইউনিয়নের নতুনহাট মুকিম তালুকদার বাড়ীর আবুধাবী প্রবাসি আবু বক্কর (২৮) এর স্ত্রী। বিয়ে হয়েছে মাত্র ২০ দিন আগে। এখনো হাতের মেহেদির রং শুকাইনি তার। স্বামী স্ত্রীর মধ্যে পরস্পারিক বুঝাপড়ার সময়ও পাওয়া যায়নি। এরই মধ্যে রীমা আক্তার (২২) নামের এই গৃহবধু আত্মহত্যা করেন।
ঘরে থাকা রীমার প্রবাসী স্বামী আবু বক্করের দাবী বিয়ের আগে কলেজ জীবন থেকে রীমার সাথে আরিফ নামে এক ছেলের প্রেমের সর্ম্পক ছিল। রীমা তার প্রমিককে স্বামী হিসেবে পেতে ব্যর্থ হয়ে আত্মহত্যা করেছে। তবে আবু বক্করের এই দাবিকে নাকচ করে দিয়ে রীমার ভাই তৌহিদুল আলম বলেছেন ,তার বোনকে হত্যা করে ঝুলিয়ে দেয়া হয়েছে।
সরেজমিনে পরিদর্শন করে দেখা গেছে রীমার লাশ তার শোয়ার ঘরে পাখার সাথে ঝুলে আছে। পাকা ঘরের একটি কক্ষের ভিতর ঝুলন্ত লাশটি দেখতে এলাকার অসংখ্য মানুষ ভিড় করছে। ঘটনায় শোকাহত অনেক মানুষের মধ্যে রান্না ঘরের ভিতর দাঁড়িয়ে থাকা রীমার স্বামী আবু বক্করের দাবি সাড়ে এগারটার দিকে রীমা সকলের অজান্তে গলায় ফাঁস লাগিয়ে আত্মহত্যা করেছে। ঐ সময় তার মা ও ভাই ইব্রহীম ঘরে থাকলেও মাদ্রাসা পড়ুয়া ছোট ভাইসহ তিনি বাইরে ছিলেন
রিমার স্বামী আবু বক্কর আরো বলেন, রীমার সাথে আরিফ নামে এক ছেলের প্রেমের সর্ম্পক ছিল। তার সাথে ফেনে কথা বলতো রীমা। বিয়ের পর একদিন রাউজান উপজেলা সদরে প্রেমিক আরিফের সাথে দেখাও করে রীমা। বিষয়টি সে নিজেই আমাকে বলেছে। একদিন আমি প্রশ্ন করতে রীমা আমার হাত ধরে বলে, আর কোনদিন আরিফের সাথে আমি যোগাযোগ রাখবনা। হয়তো ঐ ছেলেকে বিয়ে করতে ব্যর্থ হয়ে আত্মহত্যার পথ বেঁেচ নিয়েছে। এমনকি ওই ছেলের সাথে প্রায় সময় মোবাইলে এসএমএসও কথা হতো রীমার। একদিন এসএমএস ডিলিট করতে গিয়ে রীমা আমার হাতে ধরা খেয়ে বলেছে এসএমএসটি তার বান্ধবী পাঠিয়েছে। এসময় আমি এসএমএসটি ডিলিট কেন করা হল জানতে চাইলে সে ক্ষিপ্ত হয়ে পড়ে।
রীমার ছোট্ট দেবর ফাহিম বলেন, আমি সকালে মাদ্রাসায় যাওয়ার সময় ভাবীকে স্বাভাবিক দেখেছি। তিনি আমাকে চা-নাস্তাও তৈরী করে দিয়েছেন।
খবর শুনে ঘটনাস্থলে ছুটে আসা শোকাহত রীমার ভাই তৌহিদুল আলম বলেছেন,গতকাল মঙ্গলবার তার বাবা প্রবাস থেকে বাড়িতে এসেছেন। বাবাকে দেখতে আসতে রীমা তার স্বামী ও শাশুড়ীর প্রতি অনুমতি চেয়েছিল। শাশুড়ী প্রথমে থাকে বাবার বাড়িতে যাওয়ার অনুমতি দেয়ার আশ্বস্ত করলেও শেষে বেঁকে বসেন, পড়নের কাপড় পাল্টে ফেলতে তাকে বাধ্য করেন। এই ঘটনার পর রীমা তাকে ফোনে জানায় বাবাকে দেখতে তার আর আসা হচ্ছে না।
তৌহিদ আরো জানায়, চলতি মাসের ৪ তারিখ দশ লাখ ৫০হাজার টাকা দেনমোহরে তার বোনকে প্রবাসী আবু বক্করের সাথে বিয়ে দিয়েছিলেন। রীমা হাটহাজারী কলেজ থেকে এবার বিবিএস পরীক্ষায় অংশ নিয়েছিল। গত মঙ্গলবার প্রকাশিত ফলাফলে দেখা গেছে রীমা প্রথম বিভাগে উত্তর্ণী হয়েছে।
রীমার দেবর ইব্রাহিম জানান, বিয়ের পর থেকে আজ পর্যন্ত ভাইয়া ভাবীর সাথে দৈহিক মিলনে যেতে পারেনি ভাবীর রীমার আপত্তির কারনে। এনিয়ে উভয় পরিবারে বিষয়টি জানাযানি হলে রীমার বাবার পরিবারের পক্ষ থেকে এক সপ্তাহ সময় চাওয়া হয়। এ সমস্যা সমাধানের উদ্দেশ্যেই রীমার বাবা গত মঙ্গলবার দেশে ফিরে আসে।
গৃহবধু রীমা চিকদাইর ইউনিয়নের আবদুস ছালাম সওদাগড়ের বাড়ির প্রবাসী আহমদ উল্লাহর দ্বিতীয় কন্যা। আর স্বামী আবু বক্কর নোয়াজিশপুরের মুকিম তালুকদার বাড়ির বন্দর কর্তৃপক্ষের প্রকৌশল বিভাগে চাকুরীতে নিয়োজিত মোহাম্মদ ইদ্রিসের পুত্র। রীমার স্বামী আগামী ৪ অক্টোবর মধ্যপ্রচ্যের চাকুরিতে চলে যাওয়ার কথা ছিল।
চট্টগ্রামের রাউজানে পরকিয়া বা প্রেম ঘটিত কারণে এক সপ্তাহের মধ্যে ৫টি প্রানের বিনিময়ে আত্মহত্যার ঘটনা ঘটেছে ৪টি।সর্বশেষ গত ২৪ সেপ্টেম্বর বুধবার দুপুরে এ মিছিলে যোগ দিলেন উপজেলার নোয়াজিশপুর নতুনহাট এলাকার এক নববধু।
বিয়ের ২১ দিনের মাথায় হাতের মেহেদীর রং মুছার আগেই ঘরের পাখার সাথে গলায় উড়না পেছিয়ে আত্মহত্যা করেছে এক নব বধু। এদিন বিকেল ৫টার দিকে রাউজান থানা পুলিশ নববধুর ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করে মর্গে পাঠিয়েছে। আত্মহুতি দেয়া নব বধুর নাম রিমা আকতার (২২)। সে নোয়াজিশপুর ইউনিয়নের নতুনহাট মুকিম তালুকদার বাড়ীর আবুধাবী প্রবাসি আবু বক্কর (২৮) এর স্ত্রী। বিয়ে হয়েছে মাত্র ২০ দিন আগে। এখনো হাতের মেহেদির রং শুকাইনি তার। স্বামী স্ত্রীর মধ্যে পরস্পারিক বুঝাপড়ার সময়ও পাওয়া যায়নি। এরই মধ্যে রীমা আক্তার (২২) নামের এই গৃহবধু আত্মহত্যা করেন।
ঘরে থাকা রীমার প্রবাসী স্বামী আবু বক্করের দাবী বিয়ের আগে কলেজ জীবন থেকে রীমার সাথে আরিফ নামে এক ছেলের প্রেমের সর্ম্পক ছিল। রীমা তার প্রমিককে স্বামী হিসেবে পেতে ব্যর্থ হয়ে আত্মহত্যা করেছে। তবে আবু বক্করের এই দাবিকে নাকচ করে দিয়ে রীমার ভাই তৌহিদুল আলম বলেছেন ,তার বোনকে হত্যা করে ঝুলিয়ে দেয়া হয়েছে।
সরেজমিনে পরিদর্শন করে দেখা গেছে রীমার লাশ তার শোয়ার ঘরে পাখার সাথে ঝুলে আছে। পাকা ঘরের একটি কক্ষের ভিতর ঝুলন্ত লাশটি দেখতে এলাকার অসংখ্য মানুষ ভিড় করছে। ঘটনায় শোকাহত অনেক মানুষের মধ্যে রান্না ঘরের ভিতর দাঁড়িয়ে থাকা রীমার স্বামী আবু বক্করের দাবি সাড়ে এগারটার দিকে রীমা সকলের অজান্তে গলায় ফাঁস লাগিয়ে আত্মহত্যা করেছে। ঐ সময় তার মা ও ভাই ইব্রহীম ঘরে থাকলেও মাদ্রাসা পড়ুয়া ছোট ভাইসহ তিনি বাইরে ছিলেন
রিমার স্বামী আবু বক্কর আরো বলেন, রীমার সাথে আরিফ নামে এক ছেলের প্রেমের সর্ম্পক ছিল। তার সাথে ফেনে কথা বলতো রীমা। বিয়ের পর একদিন রাউজান উপজেলা সদরে প্রেমিক আরিফের সাথে দেখাও করে রীমা। বিষয়টি সে নিজেই আমাকে বলেছে। একদিন আমি প্রশ্ন করতে রীমা আমার হাত ধরে বলে, আর কোনদিন আরিফের সাথে আমি যোগাযোগ রাখবনা। হয়তো ঐ ছেলেকে বিয়ে করতে ব্যর্থ হয়ে আত্মহত্যার পথ বেঁেচ নিয়েছে। এমনকি ওই ছেলের সাথে প্রায় সময় মোবাইলে এসএমএসও কথা হতো রীমার। একদিন এসএমএস ডিলিট করতে গিয়ে রীমা আমার হাতে ধরা খেয়ে বলেছে এসএমএসটি তার বান্ধবী পাঠিয়েছে। এসময় আমি এসএমএসটি ডিলিট কেন করা হল জানতে চাইলে সে ক্ষিপ্ত হয়ে পড়ে।
রীমার ছোট্ট দেবর ফাহিম বলেন, আমি সকালে মাদ্রাসায় যাওয়ার সময় ভাবীকে স্বাভাবিক দেখেছি। তিনি আমাকে চা-নাস্তাও তৈরী করে দিয়েছেন।
খবর শুনে ঘটনাস্থলে ছুটে আসা শোকাহত রীমার ভাই তৌহিদুল আলম বলেছেন,গতকাল মঙ্গলবার তার বাবা প্রবাস থেকে বাড়িতে এসেছেন। বাবাকে দেখতে আসতে রীমা তার স্বামী ও শাশুড়ীর প্রতি অনুমতি চেয়েছিল। শাশুড়ী প্রথমে থাকে বাবার বাড়িতে যাওয়ার অনুমতি দেয়ার আশ্বস্ত করলেও শেষে বেঁকে বসেন, পড়নের কাপড় পাল্টে ফেলতে তাকে বাধ্য করেন। এই ঘটনার পর রীমা তাকে ফোনে জানায় বাবাকে দেখতে তার আর আসা হচ্ছে না।
তৌহিদ আরো জানায়, চলতি মাসের ৪ তারিখ দশ লাখ ৫০হাজার টাকা দেনমোহরে তার বোনকে প্রবাসী আবু বক্করের সাথে বিয়ে দিয়েছিলেন। রীমা হাটহাজারী কলেজ থেকে এবার বিবিএস পরীক্ষায় অংশ নিয়েছিল। গত মঙ্গলবার প্রকাশিত ফলাফলে দেখা গেছে রীমা প্রথম বিভাগে উত্তর্ণী হয়েছে।
রীমার দেবর ইব্রাহিম জানান, বিয়ের পর থেকে আজ পর্যন্ত ভাইয়া ভাবীর সাথে দৈহিক মিলনে যেতে পারেনি ভাবীর রীমার আপত্তির কারনে। এনিয়ে উভয় পরিবারে বিষয়টি জানাযানি হলে রীমার বাবার পরিবারের পক্ষ থেকে এক সপ্তাহ সময় চাওয়া হয়। এ সমস্যা সমাধানের উদ্দেশ্যেই রীমার বাবা গত মঙ্গলবার দেশে ফিরে আসে।
গৃহবধু রীমা চিকদাইর ইউনিয়নের আবদুস ছালাম সওদাগড়ের বাড়ির প্রবাসী আহমদ উল্লাহর দ্বিতীয় কন্যা। আর স্বামী আবু বক্কর নোয়াজিশপুরের মুকিম তালুকদার বাড়ির বন্দর কর্তৃপক্ষের প্রকৌশল বিভাগে চাকুরীতে নিয়োজিত মোহাম্মদ ইদ্রিসের পুত্র। রীমার স্বামী আগামী ৪ অক্টোবর মধ্যপ্রচ্যের চাকুরিতে চলে যাওয়ার কথা ছিল।
থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা প্রদীপ কুমার দাশ বলেন, লাশ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য মর্গে পাঠানো হয়েছে। এই ঘটনায় রীমার পরিবারের পক্ষে