ক্রিকেটার
রুবেল হোসেনের বিরুদ্ধে দায়ের করা ধর্ষণ মামলার বাদী অভিনেত্রী নাজনীন
আক্তার হ্যাপীর সঙ্গে কেউ জোরপূর্বক শারীরিক সম্পর্কের আলামত পাওয়া যায়নি।
তবে হ্যাপির একাধিকবার শারীরিক সম্পর্কের প্রমাণ পাওয়া গেছে। যদিও এগুলো
অনেক পুরনো। ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল থেকে আসা হ্যাপীর ফরেনসিক রিপোর্টে
এমন তথ্যই উল্লেখ ছিল বলে জানিয়েছে পুলিশ।
মিরপুর
মডেল থানার পরিদর্শক মো. মঈনুল সাংবাদিকদের বলেন, ফরেসসিক রিপোর্টে
সাম্প্রতিক সময়ের মধ্যে হ্যাপীর সঙ্গে কারও কোনো ধরনের জোরপূর্বক শারীরিক
সম্পর্কের আলামত পাওয়া যায়নি। ঢামেক হাসপাতালের চিকিৎসক ডা. নুজহাত
আন্দালিব স্বাক্ষরিত রিপোর্টে লেখা আছে, সাম্প্রতিক সময়ে হ্যাপীকে
জোরপূর্বক শারীরিক সম্পর্কে বাধ্য করার কোনো আলামত চিকিৎসকরা পাননি।এর
আগে ডাকযোগে ২৪ ডিসেম্বর হ্যাপীর ফরেনসিক রিপোর্ট মিরপুর থানায় হস্তান্তর
করে ঢামেক হাসপাতালের ফরেনসিক মেডিসিন বিভাগ। ঢামেক হাসপাতালের ফরেনসিক
মেডিসিন বিভাগ থেকে বুধবার বিকেল পৌনে ৪টায় হ্যাপীর শারীরিক পরীক্ষার এ
রিপোর্ট মিরপুর থানায় হস্তান্তর করা হয়।ফরেনসিক
মেডিসিন বিভাগের প্রধান অধ্যাপক ডা. হাবিবুজ্জামান জানান, তিন সদস্যের
একটি মেডিকেল বোর্ড গঠন করে হ্যাপীর শারীরিক পরীক্ষা করা হয়।এদিকে
পরীক্ষায় হ্যাপির একাধিকবার শারীরিক সম্পর্কের প্রমাণ পাওয়া গেছে। তবে
এগুলো অনেক পুরনো। চিকিৎসা বিজ্ঞানের ভাষায় হ্যাপিকে বলা হয়েছে
‘মাল্টিগামি’। কিন্তু এখন পর্যন্ত ঠিক কতজনের সঙ্গে সে মিলিত হয়েছে তা
নির্ণয় করা যায়নি। ফরেনসিক সূত্র জানিয়েছে, ব্যক্তির সংখ্যা নির্ণয় করা আদৌ
সম্ভব নয়।গত ১৩ই ডিসেম্বর জাতীয়
দলের পেসার রুবেলের বিরুদ্ধে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে ধর্ষণের অভিযোগ এনে
মিরপুর থানায় মামলা করেন হ্যাপি। ওই দিন পুলিশ হ্যাপিকে নিজেদের হেফাজতে
নিয়ে তেজগাঁওয়ের ভিকটিম সাপোর্ট সেন্টারে রাখে। পরদিন মেডিক্যাল টেস্টের
জন্য হ্যাপিকে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের ফরেনসিক বিভাগে নেয়া হয়।
পরীক্ষা শেষে হ্যাপিকে তার বাবা-মায়ের হেফাজতে পাঠিয়ে দেয় পুলিশ।হ্যাপির
মেডিক্যাল পরীক্ষার জন্য ঢাকা মেডিক্যাল কর্তৃপক্ষ তিন সদস্যের একটি কমিটি
গঠন করে। পরীক্ষা শেষে গতকাল তারা পুলিশের কাছে প্রতিবেদন দাখিল করে।ঢাকা
মেডিকেলের ফরেনসিক সূত্র জানায়, তারা হ্যাপির ফরেনসিক পরীক্ষায় ধর্ষণের
কোন আলামত পাননি। তবে হ্যাপি যে দীর্ঘ সময় ধরে বিভিন্ন ব্যক্তির সঙ্গে
শারীরিক সম্পর্কে মিলিত হয়েছেন তার প্রমাণ পাওয়া গেছে। পরীক্ষায় যে সব
উপাদান পাওয়া গেছে এগুলো অনেক পুরনো। এ কারণে সামপ্রতিক সময়ে তিনি যে
ধর্ষণের অভিযোগ করেছিলেন সেই বিষয়টি প্রমাণিত হয়নি।মামলার
তদন্ত সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, আইন অনুযায়ী ফরেনসিক রিপোর্টটি
আদালতে উত্থাপন করা হবে। রিপোর্টে যা রয়েছে তা বিশ্লেষণ করে আদালত
সিদ্ধান্ত নেবে।এদিকে চিত্রনায়িকা
হ্যাপি জানান, পুলিশ তাকে ‘রিপোর্ট পজিটিভ’ বলে জানিয়েছে। তারা রিপোর্টটি
আদালতে জমা দেবেন। মেডিক্যাল টেস্টে একাধিক ব্যক্তির সঙ্গে শারীরিক
সম্পকের্র বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, এগুলো ভিত্তিহীন।www.24banglanewspaper.com